ভোক্তাপর্যায়ে কমলো এলপি গ্যাসের দাম
ভোক্তাপর্যায়ে এলপিগ্যাসের নতুনদাম নির্ধারণ করেছেসরকার। নভেম্বর মাসেরজন্য প্রতি ১২কেজি সিলিন্ডারের দাম১ টাকা কমিয়ে১ হাজার ৪৫৫টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫নভেম্বর) নতুনএ দর ঘোষণাকরে নিয়ন্ত্রক সংস্থাবাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন।যা সন্ধ্যা থেকেকার্যকর হবে।এর আগে অক্টোবর মাসে ৩৫ টাকাবাড়িয়ে ১হাজার ৪৫৬ টাকানির্ধারণ করাহয়।
সংশ্লিষ্ট
আজ ঢাকা যেন হয়ে উঠেছে ফিলিস্তিনের প্রতিচ্ছবি। রোদে পুড়ে, ঘামে ভিজে, গলা ফাটিয়ে শত শত মানুষ স্লোগান দিচ্ছেন ‘তুমি কে আমি কে, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’। চারপাশে শোভা পাচ্ছে লাল-সবুজ আর সাদা-কালো রঙের পতাকা।গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর নির্বিচার গণহত্যা আর বর্বরতার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে রাজধানী। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এবং আশপাশের এলাকাগুলো পরিণত হয়েছে জনসমুদ্রে। একটাই দাবি— গণহত্যা বন্ধ করো, ফিলিস্তিনকে স্বাধীন কর।‘মার্চ ফর গাজা’ গণজমায়েত কর্মসূচিতে যোগ দিতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুল মানুষ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যান। শাহবাগ ও আশপাশে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শনিবার বিকাল ৩টায় মূল কর্মসূচির মাধ্যমে শেষ হয়। সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসে মানুষ। মিছিলগুলো কোনোটি শাহবাগ দিয়ে, দোয়েল চত্বর দিয়ে, নীলক্ষেতের দিক থেকে উদ্যানে মিলিত হতে দেখা যায়। বেশিরভাগ মানুষের হাতে দেশের ও ফিলিস্তিনের পতাকা দেখা যায়।‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম এ কর্মসূচির আয়োজন করে। সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল সহকারে মানুষ আসতে শুরু করেন উদ্যানে। শাহবাগ, দোয়েল চত্বর, নীলক্ষেত, টিএসসি, পলাশীসহ আশপাশের এলাকার রাস্তাগুলোয় একের পর এক মিছিল ঢুকে পড়ে মূল সমাবেশস্থলে। অংশগ্রহণকারীদের হাতে ছিল বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পতাকা এবং নানান প্রতিবাদী স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড। প্ল্যাকার্ডগুলোর মধ্যে লেখা ছিল— ‘গাজা রক্তে রঞ্জিত, বিশ্ব কেন নীরব?’, ‘ফিলিস্তিন মুক্ত কর’, ‘ইসরাইলি দখলদারিত্বের অবসান চাই’।সমাবেশস্থলে দেখা যায় নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, রাজনীতিক, ইসলামি বক্তা, মানবাধিকারকর্মী এবং সংস্কৃতিকর্মীরা এক কাতারে দাঁড়িয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে স্লোগান দিচ্ছেন। আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, এ কর্মসূচির উদ্দেশ্য আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা এবং গাজায় চলমান হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করা।সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের কেউ কেউ অভিনব পন্থায় প্রতিবাদ জানান—ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি বা মুখোশ বহন করে, যা বিশ্ব রাজনীতিতে এ গণহত্যার সহযোগীদের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করে। অনেকেই রক্তাক্ত (প্রতীকী) পোশাক পরে অংশগ্রহণ করেন, যা গাজার পরিস্থিতিকে দৃশ্যমান করে তোলে।
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ইসলামের আলোকে দেশ প্রেম ও মানবিক মূল্যবোধ শীর্ষক আলোচনা, ‘নক্ষত্র সাহিত্য পুরস্কার’-২০২৫ প্রদান অনুষ্ঠান হয়ে গেলোদেশের শিল্প-সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে নক্ষত্র সাহিত্য সংসদ। আর শিল্প-সাহিত্য নিয়ে কাজ করতে গিয়ে অর্জন করেছে নানা বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতা। আমাদের জাতীয় দিবসগুলোর পাশাপাশি ভূমিকা রেখেছে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ইসলামের আলোকে দেশ প্রেম ও মানবিক মূল্যবোধ শীর্ষক আলোচনা, ‘নক্ষত্র সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫ প্রদান ও ইসলামীক কবিতা আবৃত্তি ও সংগীত অনুষ্ঠান হয়ে গেলো গত ১৫ মার্চ ২০২৫, শনিবার,বিকেল ৪টা, বিশ্ব-সাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে । অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন: ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)এর সাবেক সভাপতি এলাহী নেওয়াজ খান। প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন: লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) ও লেখক মহসিন আলী খান । মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন: ড. ইঞ্জিনিয়ার এম শাহ্ আলম (বীর মুক্তিযোদ্ধা)। সভাপতিত্ব করেন সংগঠক ও নির্মাতা কবি রানা হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন: (বিজ্ঞ আইনজীবি), এ্যাডভোকেট মোঃ মোজাহার আলী, (বিজ্ঞ আইনজীবি), গণতান্ত্রিক যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আমান সোবহান, বাংলাদেশ মানবাধিকার ফোরামের সভাপতি এ্যাডভোকেট ফারুক আহমেদ, কবি বছিরুল আলম নানুœ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি শামীম মাহমুদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন: কবি শান্তনা মিঠু। বিভিন্ন শাখায় ১২জনগুণি মানুষর হাতে তুলে দেওয়া হয় ‘নক্ষত্র সাহিত্য পুরস্কার’-২০২৫।
আমাদের শিল্প-সাহিত্য, ইতিহাস, ঐতিহ্যকে হৃদয়ে ধারণ করে ২০ ডিসেম্বর ২০১০ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে নিয়মিত ভাবে চারুলতা সংস্কৃতি সংসদ। শুরু থেকেই সুস্থ শিল্প সাহিত্য, উন্নয়ন ও সামাজিক সচেতনতাসহ সাহিত্যসভা, কবি-সাহিত্যিকদের স¦রণের অনুষ্ঠান ও প্রতিভা বিকাশে গুণী মানুষদের বিশেষ হিসেবে ‘চারুলতা পদক’ প্রদানের মাধ্যমে আজোও কাজ করছে। সংগঠনের ধারাবাহিকতায় প্রয়াত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহাবুব মোর্শেদের ১১৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা, ‘চারুলতা পদক’-২০২৪ প্রদান ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, শনিবার, সন্ধ্যা ৬টায়, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি জনাব মাহমুদুর রহমান মান্না। স্মৃতিচারণ করেন: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক তথ্য সচিব ও প্রয়াত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহাবুব মোর্শেদের উত্তরসূরী সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ। সভাপতিত্ব করেন সংগঠক, নাট্যকার, নির্মাতা ও কবি রানা হোসেন। প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন : এ্যাডভোকেট লতিফুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন : কবি আল হাফিজ, কবি শামস আরেফিন। বক্তব্য রাখেন: ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা’র বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি শামীম মাহমুদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন: কবি শান্তনা মিঠু। আবৃত্তি পরিবেশন করবেন: সৈয়দ ইসমাত তোহা ও বশিরুল আলম নান্নু সহ অনেকে। উপস্থাপনায়: আসমা মালিহা। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন: মৃদুল ইবনে হোসেন। ‘চারুলতা পদক’-২০২৫ প্রদান করা হয় চৌধুরী বাগদাদ (সাংবাদিক) ‘চারুলতা পদক’-২০২৫ প্রদান করা হয় যারা এবছর পাচ্ছেন তারা হলেন: এস. এম. মাসুদ রানা আতাউর (শিক্ষাসেবা), লিটন হাফিজ চৌধুরী (সুরকার ও সংগীত শিল্পী) , সুলতানা রুবি(সাহিত্যিক) , নাজমা আহমেদ পিংকি (শিশু সাহিত্যিক) , নুরুন নাহার রীনা (কবি ও সাহিত্যিক) ,শামীম মাহমুদ (তরুণ রাজনীতিবিদ), সুরাইয়া কাজী (কবি ও কথাসাহিত্যিক) ,হাসান জাকির (কবি ও কথাশিল্পী) ,চৌধুরী বাগদাদ (সাংবাদিক) ,তরিকুল ইসলাম তরুণ (সাংবাদিক) , দোলন ইমাম (নৃত্যপরিচালক) ।
হানিফ সংকেত : এই ঘটনার পর এখন পর্যন্ত আমি কারও সঙ্গে কথা বলিনি। আসলে আমরা কোনো মাঠে এই অনুষ্ঠানের রেকর্ডিং করি না। সাধারণত যেকোনো প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন বা দেশের কোনো ঐতিহ্যবাহী স্থানে আমরা অনুষ্ঠানটা করি। প্রতিটি জায়গারই আলাদা একটা বৈশিষ্ট্য থাকে। ঠাকুরগাঁওয়ে এ রকম কিছু নেই। তারপরও আমরা জানতে পেরেছি, রানীশংকৈল উপজেলায় টংকনাথের রাজবাড়ি নামে একটি জমিদারবাড়ি আছে, যেটা খুবই বিখ্যাত, প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শনও। আমাদের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এটা সংরক্ষণও করেছে। এরপর আমরা ওখানকার জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বললাম। তাঁরা বললেন, ‘এটা তো গ্রামীণ এলাকা, এখানে অত লোক পাবেন? অন্য জায়গায় করা যায় কি না, ঠাকুরগাঁওয়ে।’ আমি তখন বলেছি, ‘ঠাকুরগাঁওয়ে করব না। আমরা তো মাঠে করি না।’ তখন তাঁরাও বলছিলেন, ‘দর্শক না এলে হবে?’ আমি তখন বলেছি, ‘আমাদের দুই থেকে তিন হাজার দর্শক হলেই চলবে। আমরা তো স্থাপনার বাইরে যেতে পারব না।’ সবকিছু মিলে টংকনাথ রাজবাড়িতে আমরা করলাম। অনুষ্ঠানের আগে আমরা আট হাজার প্রবেশ পাস দিয়েছি। ওখানে কিন্তু আর্মি, পুলিশ সবাই ছিল। যখনই আমরা অনুষ্ঠান শুরু করলাম। দর্শক তালি দিল। যেই আমি মঞ্চে এলাম, শুনলাম, চারদিক থেকে তিন কিলোমিটারের মতো রাস্তা প্যাকড। পাঁচ লাখের অধিক লোক। এত মানুষকে আমি কোথায় বসতে দেব। লোকজন করল কি, বাঁশের ব্যারিকেড ছিল, তা ভেঙে ঝাঁপিয়ে পড়ল। তখন তো ম্যাচাকার অবস্থা। ওখানে নারী আছেন, শিশু আছে, আছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষ। এরপর হাউকাউ শুরু হয়ে গেল। পুলিশ থামানোর চেষ্টা করছে, আমিও করছি। অস্থির অবস্থা। কেউ চেয়ার–ছোড়াছুড়ি করছে।হানিফ সংকেত : আমি তখন প্রশাসনকে ডেকে বললাম, ‘এভাবে অনুষ্ঠান করা যাবে না। মানুষ শান্ত হোক, তারপর অনুষ্ঠান শুরু করব। আপাতত আমরা অনুষ্ঠান কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখি।’ আমরাও অনুষ্ঠানের দৃশ্যধারণ বন্ধ করে দিয়ে লাইট বন্ধ করে দিলাম। জানিয়ে দিলাম, ‘অনুষ্ঠান আপাতত হচ্ছে না। আপনারা শান্ত হন।’ এ–ও অনুরোধ করেছি, ‘চলে যান। পরবর্তী সময় আমরা চিন্তা করব কী করা যায়।’ লোক যেতে তিন ঘণ্টা লেগে গেল।আমরা অনুষ্ঠান শুরু করি সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়। সাড়ে সাতটা কি আটটার সময় ঘটনার সূত্রপাত, যখন আমি মঞ্চে উঠলাম। ওঠার পর যখন কথা বললাম, তখনই বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। এরপর একটা নাচ করলাম। তারপর রবি চৌধুরী ও লিজার গানের অর্ধেকটা করলাম, তখন সেকেন্ড বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। এক থেকে দেড় ঘণ্টা অনুষ্ঠানের দৃশ্যধারণ বন্ধ রেখে রাত সাড়ে ৯টা কি ১০টার দিকে আবার শুরু করেছি। দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শুটিং করেছি। এখানকার স্থানীয় লোকজন খুবই আন্তরিক। তাঁরা এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। লজ্জিত হয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, ‘ঠাকুরগাঁওয়ের লোক ভালো।’ তখন আমিও বলেছি, ‘আমি তো বলিনি ঠাকুরগাঁওয়ের লোক খারাপ। ভালো বলেই তো শুটিং করতে এসেছি।’ আসলে সেখানে সমস্যাটা হয়েছে কি, আমরা পরিস্থিতির শিকার হয়ে গেছি। আমরাও বুঝিনি যে এত লোক হবে। কর্তৃপক্ষও বোঝেনি যে এত লোক হবে। আমাদের জায়গাটা আসলে আরও বড় হওয়া উচিত ছিল। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এখানে কিন্তু কোনো ঝগড়া নেই, মারামারি নেই। হামলা নেই। সবাই পরে খুব দুঃখ প্রকাশ করেছে। তারা এ–ও বলেছে, ‘আপনাদের ভালোবাসে, এটা তো অন্যায় না। ভালোবাসি বলেই এই ঘটনা ঘটেছে।’ এখানে কেউই মারামারি করতে আসেনি, হামলাও করতে আসেনি। এখানে এসেছিল উৎসুক জনতা। তারা এসেছে ‘ইত্যাদি’ দেখবে, আমাদের দেখবে, ‘ইত্যাদি’র শুটিং দেখবে বলে।