× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার
Image

বিদেশে কর্মী কমলেও বেড়েছে প্রবাসী আয়


টানা দুই বছর ব্যাপক উল্লম্ফনের পর গত বছর কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে বিদেশে কর্মসংস্থান। আগের বছরের তুলনায় গত বছর তিন লাখ কর্মীর কর্মসংস্থান কমে গেছে। এ বছর তা আরও কমার শঙ্কা আছে। তবে আশার কথা হলো, বিদেশে কর্মী কমলেও বেড়েছে প্রবাসী আয়। বড় আকারের তিনটি শ্রমবাজার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিদেশে কর্মসংস্থানে বাংলাদেশের জন্য এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এখন একমাত্র ভরসা হিসেবে টিকে আছে সৌদি আরবের শ্রমবাজার। বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, ২০২১ সালে বিভিন্ন দেশে কাজ নিয়ে গেছেন ৬ লাখ ১৭ হাজার কর্মী। পরের বছর তা বেড়ে দাঁড়ায় ১১ লাখের বেশি কর্মী। ২০২৩ সালে তা আরও ২ লাখ বেড়ে কর্মী যাওয়ার সংখ্যা ১৩ লাখ ছাড়িয়ে যায়। তবে গত বছর তা তিন লাখ কমে দাঁড়ায় ১০ লাখে। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ কর্মী গেছেন মাত্র পাঁচটি দেশে। এগুলো হচ্ছে সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, কাতার, সিঙ্গাপুর ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)।তবে মালয়েশিয়া ও আমিরাতের শ্রমবাজার বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশের জন্য আরেক বড় শ্রমবাজার ওমানেও কর্মী নিয়োগ বর্তমানে বন্ধ। ফলে চলতি বছর বিদেশে কর্মী পাঠানো আরও কমার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। মালয়েশিয়ায় ২০২৩ সালে কাজ নিয়ে যান সাড়ে তিন লাখের বেশি কর্মী। কিন্তু গত জুন থেকে দেশটির শ্রমবাজার বন্ধ হয়ে গেছে। গত বছর দেশটিতে সব মিলে কর্মী যেতে পেরেছেন এক লাখের কম। তার মানে আগের বছরের তুলনায় গত বছর দেশটিতে নতুন কর্মসংস্থান কমেছে দুই লাখের বেশি। ওমানে ২০২৩ সালে কর্মী গিয়েছিলেন সোয়া লাখের বেশি। গত বছর শ্রমবাজারটি বন্ধ থাকায় কর্মী গেছেন মাত্র ৩৫৮ জন।  তবে কর্মসংস্থান বেড়েছে সৌদি আরবে। দেশটিতে ২০২৩ সালে প্রায় ৫ লাখ কর্মী গেলেও গত বছর এটি বেড়ে সোয়া ৬ লাখ ছাড়িয়েছে। এ বছর এমন ধারা অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর সৌদি আরবেও নতুন কর্মসংস্থান কমতে পারে। এ ছাড়া সৌদি আরব গিয়ে চুক্তি অনুসারে কাজ না পাওয়ার অভিযোগ আছে। এতে কর্মীরা অবৈধ হয়ে পড়ছেন এবং দেশটির পুলিশের হাতে আটক হয়ে দেশে ফিরে আসছেন।  বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, দেশটিতে ফুটবল অবকাঠামো নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এতে কর্মীর চাহিদা আসছে নিয়মিত। গত তিন মাসে বিদেশে কর্মসংস্থানের ৮০ শতাংশের বেশি হয়েছে সৌদিতে। আগামী জুনের পর দেশটিতে কর্মী পাঠানো কমতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।গত বছর সব মিলে প্রবাসী আয় এসেছে ২ হাজার ৬৭০ কোটি ডলার। দেশের ইতিহাসে আগে কোনো বছর এত বেশি প্রবাসী আয় আসেনি। এর আগে ২০২১ সালে সর্বোচ্চ ২ হাজার ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছিল প্রবাসী আয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর টাকা পাচার কমেছে। আমদানি-রপ্তানির ব্যবসা-বাণিজ্যে কিছুটা স্থবিরতা আছে। এতে হুন্ডি লেনদেনও কমে গেছে। ফলে প্রবাসীরা আনুষ্ঠানিক খাতে টাকা পাঠানো বাড়িয়েছেন। রামরু বলছে, শ্রমবাজারের অন্যতম চ্যালেঞ্জ হলো একক দেশনির্ভরতা। ঘুরেফিরে হাতে গোনা কয়েকটি দেশের শ্রমবাজারে সীমিত হয়ে আছে বিদেশে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থান। এতে কর্মসংস্থান ধরে রাখা নিয়ে ঝুঁকি থেকে যায়। 

২ সপ্তাহ আগে

Image

আমদানি বেশি এবং দেশি নতুন আলু বাজারে, কমেছে আলু-পেঁয়াজের দাম


তিন দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে কমেছে ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ ও দেশি আলুর দাম। ভারতীয় পেঁয়াজ কেজি প্রতি ১০ টাকা কমে ৪৫ টাকায় এবং দেশি নতুন জাতের আলু ৩০ টাকা কমে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি বেশি এবং দেশি নতুন আলু বাজারে উঠতে শুরু করাতে কমতে শুরু করেছে দাম বলছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। দাম কমাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। সোমবার সকালে হিলি বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়। হিলি বাজারে আলু ও পেঁয়াজ কিনতে আসা আমিনুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিনের তুলনায় আলু এবং পেঁয়াজের দাম কমেছে। তবে চাল, তেল, চিনি, বিভিন্ন মসলার দাম কমেনি। বাজার ব্যবস্থা খুব দুর্বল। সাধারণ মানুষের নাগালের বাহিরে গেছে সব কিছু। আমরা সঠিকভাবে সংসার পরিচালনা করতে পারছিনা। সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোন পদক্ষেপ নেই বললেই চলে। হিলি বাজারের আলু ও পেঁয়াজ বিক্রেতা রায়হান হোসেন বলেন, দেশের বাজারে দেশি আলু এবং ভারত থেকে পেঁয়াজের সরবারহ বৃদ্ধির কারণে কমতে শুরু করেছে দাম। এতে করে আগের থেকে বিক্রিও বেড়েছে। ক্রেতারা তাদের চাহিদা মত পণ্য কিনছেন। আমরা কম দামে কিনে কম দামে বিক্রি করছি। হিলি কাস্টমসের তথ্য মতে, গতকাল রোববার ভারতীয় ২০ ট্রাকে ৫৮০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। 

৪ সপ্তাহ আগে

Image

পাকিস্তান থেকে ফের সেই একই জাহাজ করাচি থেকে চট্টগ্রামে আসছে দ্বিগুণেরও বেশি পণ্য নিয়ে।


পাকিস্তান থেকে জাহাজে করে পণ্য বাংলাদেশে পৌঁছেছিল কয়েকদিন আগেই। তা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। ফের সেই একই জাহাজ করাচি থেকে চট্টগ্রামে আসছে দ্বিগুণেরও বেশি পণ্য নিয়ে। ২০ ডিসেম্বর জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় পৌঁছাবে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তপক্ষ। তবে প্রশ্ন উঠেছে- কি আছে এবারের জাহাজে? এর আগেও একই পাকিস্তানি জাহাজ বাংলাদেশে এসেছিল পণ্য নিয়ে। যা নিয়ে নানান জল্পনা তৈরি হয়েছিল।  রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তান থেকে আসা ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’ নামক জাহাজটি এবার বাংলাদেশের চট্টগ্রামে পৌঁছাচ্ছে ৮২৫ টিইইউএস কনটেইনার নিয়ে। এর আগেরবার যখন জাহাজটি বাংলাদেশে এসেছিল, তখন তাতে ছিল ৩৭০ টিইইউএস কনটেইনার। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এবার গতবারের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি পণ্য নিয়ে চট্টগ্রামে পৌঁছাচ্ছে পাকিস্তানি জাহাজটি।  পাকিস্তানের করাচি বন্দরের সঙ্গে চট্টগ্রামের সরাসরি কনটেইনার জাহাজ যোগাযোগ চালু হয়েছে চলতি বছরের ১৪ নভেম্বর। সেবার যে ৩৭০ টিইইউএস কনটেইনার বাংলাদেশে পৌঁছেছিল, তার মধ্যে ২৯৭ টিইইউএস কনটেইনার এসেছিল পাকিস্তান থেকে। বাকি ৭৩ টিইইউএস কনটেইনার সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বাংলাদেশে নিয়ে গিয়েছিল ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’। দ্বিতীয়বারের মতো গত ১১ ডিসেম্বর পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দেয় ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’ জাহাজ। রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯ ডিসেম্বরের আগেই বঙ্গোপসাগরে ঢুকেছে জাহাজটি। এই আবহে মনে করা হচ্ছে, ২১ বা ২২ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাস করতে পারে ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’। পণ্য খালাস করে ২৩ ডিসেম্বর নাগাদ জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দর ছাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।  জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করার পর যাবে ইন্দোনেশিয়ায়। সেখান থেকে মালেশিয়া, দুবাই হয়ে পাকিস্তানের করাচি ফিরবে। তবে এই জাহাজে কি কি পণ্য রয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। এ নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, শিপিং সংস্থাটি অনলাইনে জানাবে যে তাদের জাহাজের কনটেনারে কি কি পণ্য আছে। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

১ মাস আগে

Image

স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের করাচি থেকে জাহাজ সরাসরি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে ।


দেশের স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের করাচি থেকে কন্টেইনার বহনকারী জাহাজ সরাসরি এসে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়েছে । গত কয়েকদিন ধরে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও গণমাধ্যমে অনেক আগ্রহ তৈরি হয়েছে ।পাকিস্তানের করাচি থেকে ছেড়ে আসা 'এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং' নামের ওই জাহাজটি গত ১৩ ই নভেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরে এসে ভিড়েছিলো। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পণ্য খালাস হয়ে গেলে পরদিনই জাহাজটি বন্দর ত্যাগ করেছে। জাহজটিতে করে কী আনা হয়েছে?কাস্টমস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ''ফ্রেবিকস, চুনাপাথর, সোডা অ্যাশ, পেঁয়াজ, ম্যাগনেশিয়াম কার্বোনেট, ডলোমাইট আছে।''এসব পণ্যের ওজন ছয় হাজার ৩৩৭ টন । এর মধ্যে ১১৫ কন্টেইনারে রয়েছে সোডা অ্যাশ । ডলোমাইট রয়েছে ৪৬টি কন্টেইনারে।কাস্টমস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কন্টেইনারগুলোর মধ্যে বেশিরভাই টেক্সটাইল শিল্পের কাঁচামাল। এর মধ্যে আরো আছে কাঁচ শিল্পের কাঁচামাল, গাড়ির যন্ত্রাংশ,  রং,  কাঁচামাল কাপড়।  ৪২টি কন্টেইনারে রয়েছে পেঁয়াজ । ১৪টি কন্টেইনারে রয়েছে আলু । এসব পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশের আকিজ গ্লাস কারখানা, প্যাসিফিক জিনস, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, নাসির গ্লাস, এক্স সিরামিকস, হাফিজ করপোরেশন, এম আর ট্রেডিংস ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান। সবগুলো কন্টেইনার করাচি থেকে জাহাজে লোড হয়নি । কিছু কন্টেইনার দুবাই থেকে জাহাজটিতে লোড করে বাংলাদেশে আনা হয়েছে।

২ মাস আগে

আলু ও পেয়াঁজের দাম এখনও ঊর্ধ্বমুখী

আলু ও পেয়াঁজের দাম এখনও ঊর্ধ্বমুখী

১৬ নভেম্বর ২০২৪ দুপুর ০২:১৪

ভোক্তাপর্যায়ে কমলো এলপি গ্যাসের দাম

ভোক্তাপর্যায়ে কমলো এলপি গ্যাসের দাম

০৬ নভেম্বর ২০২৪ দুপুর ০৩:৫৯