আজ বিকেল ৪ টায়, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে “ফেনী বাঁধ নির্মাণ ও সংরক্ষণ পরিষদের”র উদ্যোগে এক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে ফেনী জেলার বিভিন্ন এলাকায় টানা বৃষ্টিপাত ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যা, মানুষের জানমাল ও জীবিকা বিপন্ন হওয়ার প্রেক্ষাপটে টেকসই বাঁধ নির্মাণ ও সংরক্ষণের দাবিতে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।মানববন্ধনে ফেনী বাঁধ নির্মাণ ও সংরক্ষণ পরিষদের আহবায়ক সাইদুল ইসলাম বলেন, “প্রতিবছর এই সময় ফেনীতে পাহাড়ি ঢল ও অপ্রতিরোধযোগ্য পানি প্রবাহের কারণে গ্রামগঞ্জ প্লাবিত হয়, ফসল, ঘরবাড়ি, রাস্তা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ে। বারবার প্রকল্পের নামে অস্থায়ী ও দুর্বল বাঁধ নির্মাণ করে সমস্যার স্থায়ী সমাধানের পরিবর্তে প্রতিবছর মানুষকে দুর্ভোগের ও ক্ষয়ক্ষতির শিকার হতে হয়।তাই অবিলম্বে ফেনী জেলার নদ-নদী ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় টেকসই বাঁধ ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এছাড়াও অনতিবিলম্বে পাঁচ দফা না মানলে আরো কঠোর কর্মসূচি প্রদান করা হবে। আমাদের দাবিসমুহ:১. ফেনী জেলা পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলীকে অপসারণ ও শাস্তি দিতে হবে। ২. সরকারের স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প ইমেডিয়েটলি একনেকে পাশ করে বাস্তবায়নের জন্য সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দিতে হবে। ৩. প্রতি মাসে ফেনী পাউবো মাঠে গণশুনানির মাধ্যমে জনগনকে বাঁধ নির্মাণ ও সংরক্ষণ আপডেট জানাতে হবে। ৪. এবারের বন্যার জন্য দায়ী বাঁধ নির্মাণের ঠিকাদারসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ৫. নতুন টেকসই বাঁধ নির্মাণের পাশাপাশি বাঁধ সংরক্ষণের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী দিদারুল আলম মজুমদার বলেন, টিএসসির অনুদান ও প্রধান উপদেষ্টার তহবিলের টাকা ফেনীর জন্য তুলা হলেও এ টাকা কোন কাজে লাগায় নাই। এ টাকার হিসেব সরকারকে দিতে হবে। শুধু এই টাকা দিয়েও বাঁধের কাজ শুরু করা যেতো।বিশিষ্ট লেখক ও চিন্তাবীদ ওমর ফারুক বলেন, এ বন্যার দায় কিছুতেই ফেনী জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড এড়াতে পারে না। তাই দায়িত্বজ্ঞানহীন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নিতে হবে। ইন্জিনিয়ার এনামুল হক আজিম বলেন, রেমিট্যান্স এর দিক দিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জেলা ফেনী হলেও এ জেলার বন্যা, বাঁধ নিয়ে সরকার উদাসীন। আমরা ফেনীবাসী ত্রান নয়, টেকসই বাঁধ চাই।এছাড়াও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন আজিজুর রহমান রিজভী, ইমাম উদ্দিন, রাউফু রাসুলুন জ্যোতি, আরিফুল ইসলাম আসিফ, ইমাম আবু জোবায়ের, আবদুর রহিম, তারেক মনোয়ার, ইব্রাহিম, নুরে আলম অপু ও আল আমিন প্রমুখ। সকল বক্তার একটাই আহ্বান—"প্রকল্প নয়, চাই টেকসই বাঁধ ও স্থায়ী সমাধান! মানববন্ধনে শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি এবং ঢাকাস্থ ফেনীবাসী উপস্থিত ছিলেন।
১ সপ্তাহ আগে
এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫—দুটিই কমেছে। এবার পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ এবং জিপিএ–৫ পেয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন।গত বছর পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। আর জিপিএ–৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন।আজ বৃহস্পতিবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবার ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে আনুষ্ঠানিকতা রাখা হয়নি। শিক্ষা বোর্ডগুলো আলাদা আলাদাভাবে ফলাফল প্রকাশ করছে।
১ সপ্তাহ আগে
ফেনীসহ দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বিপিসি'র উদ্বেগ প্রকাশ ও জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বানফেনী, নোয়াখালী, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার, চট্টগ্রামসহ দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় কয়েকদিনের টানা ভারি বৃষ্টিপাত এবং ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের কারণে হঠাৎ করে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি এক মানবিক সংকটের জন্ম দিয়েছে। ফেনীর মহুরী, সিলোনিয়া, কহুয়া সহ বেশীরভাগ নদ-নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। বহু ঘরবাড়ি, সড়ক, কৃষিজমি ও জনপদ পানিতে ডুবে গেছে। বিশেষ করে ফেনী জেলার ফুলগাজী, পরশুরামসহ বেশ কয়েকটি উপজেলায় বসতবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে, মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে, এবং বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শুকনো খাবারের সংকট দেখা দিচ্ছে। শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ মানুষ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।এই পরিস্থিতিতে “বাংলাদেশ পাবলিক কোয়ালিশন- বিপিসি” সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, স্থানীয় প্রশাসন এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোর প্রতি নিম্নোক্ত জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জোর আহ্বান জানাচ্ছে:১. দ্রুত উদ্ধার অভিযান চালানো:বন্যাকবলিত এলাকায় উদ্ধারকাজ জোরদার করতে হবে। যেখানে সড়কপথ বিচ্ছিন্ন, সেখানে বিকল্প মাধ্যমে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে হবে।২. খাদ্য ও জরুরি ত্রাণ নিশ্চিত করা:ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, বেবি ফুড, ওষুধ ও স্যানিটারি সামগ্রীর দ্রুত ও সুষম বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে। যেন বন্যাকবলিত কোনো এলাকা বা জনগোষ্ঠী ত্রাণ থেকে বঞ্চিত না হয়।৩. স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র গড়ে তোলা: আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত জায়গা, শৌচাগার, আলাদা নারী ও শিশু কর্নার, নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। পানিবাহিত রোগ ও সংক্রমণ প্রতিরোধে মেডিকেল টিম মোতায়েন করা জরুরি।৪. স্বচ্ছ তথ্য ও সমন্বিত কর্মকৌশল: দুর্যোগকালীন তথ্য ও পরিসংখ্যান জনসাধারণের কাছে স্বচ্ছভাবে তুলে ধরতে হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সব সংস্থা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি করতে হবে যাতে সাড়া দেওয়া দ্রুত ও কার্যকর হয়।৫. পাউবো (ফেনী) নির্বাহী প্রকৌশলী ও ঠিকাদারকে শাস্তি প্রদান: বাঁধ নির্মাণে বিলম্ভ ও অনিয়মের কারনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফেনী জেলার নির্বাহী প্রকৌশলীকে শাস্তি ও অপসারন ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।৬. দীর্ঘমেয়াদি নদী ব্যবস্থাপনা ও প্রতিবেশ নির্ভর নীতিমালা: প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা এলাকা থেকে ঢলে বন্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এই পুনরাবৃত্ত দুর্যোগ ঠেকাতে আন্তঃসীমান্ত পানির ন্যায্য ব্যবস্থাপনা ও পূর্ব সতর্কতা ব্যবস্থাকে বাধ্যতামূলক করা জরুরি। পাশাপাশি জলাধার, খাল ও নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ রক্ষা করতে হবে।৭. টেকসই বাঁধ নির্মাণ ও আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর বাঁধ ব্যবস্থাপনা: দ্রুত সময়ের মাঝে টেকসই বাঁধ নির্মাণ ও আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর বাঁধ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। ৮. গণ কমিটি ও গণ শুনানি: ফেনীর বন্যা ও টেকসই বাধঁনির্মাণ কাজের জন্য একটি গণ কমিটি গঠন, কাজের সার্বিক অগ্রগতি জানিয়ে প্রতিমাসে গনশুনানির আয়োজন ও আপডেট জনগনকে অবহিত করা।এই দুর্যোগের সময় আমাদের মানবিক দায়িত্ব সর্বোচ্চভাবে পালন করতে হবে। “বাংলাদেশ পাবলিক কোয়ালিশন” মনে করে, এই সংকট শুধু একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়—এটি একটি নীতিগত পরীক্ষা, যার মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রস্তুতি, জনগণের সহমর্মিতা ও সুশাসনের কার্যকারিতা যাচাই হয়।আমরা দেশের সরকার, সকল জনগণ, সংগঠন ও আন্তর্জাতিক সহযোগীদের প্রতি আহ্বান জানাই—এই সংকট মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ হোন, সহায়তার হাত বাড়ান, যেন একটি প্রাণও অনাহারে না থাকে, যেন একটিও পরিবার বিনা আশ্রয়ে না থাকে।বাংলাদেশ পাবলিক কোয়ালিশন এর পক্ষেসাইদুল ইসলাম ওমর ফারুক ড. শামীম হামিদী মু. আবিদুর রহমান রাবেয়া আক্তার আবদুল আজিজ সাঈদ আহমেদ সরকার
১ সপ্তাহ আগে
ঢাকাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির আলোচিত-সমালোচিত প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে সিনেমায় পা রেখেছেন পূজা চেরী। কথিত ছিল, প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আবদুল আজিজের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। পরবর্তীতে সেই সম্পর্কে ভাটা পড়ায় জাজ থেকে বেরিয়ে যান পূজা। গত বছর অভিমান ভেঙে আবারও ফিরেছেন আজিজের কাছে। তবে কাজ করছেন বাইরে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানেও। কুরবানি ঈদে মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত সিনেমা ‘টগর’। আলোক হাসানের পরিচালনায় এতে পূজার সহশিল্পী রয়েছেন আদর আজাদ। সাতটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়া এ সিনেমাটি শুরু থেকেই দর্শক টানতে ব্যর্থ হয়েছে। যার ফলে, দ্বিতীয় সপ্তাহে এসে মাল্টিপ্লেক্স থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে এটি। দেশের কোনো মাল্টিপ্লেক্সেই এখন আর প্রদর্শিত হচ্ছে না। শুক্রবার (১৩ জুন) থেকে দেশে মাত্র তিনটি সিঙ্গেল স্ক্রিনের প্রেক্ষাগৃহে চলছে সিনেমাটি। দেখা যাচ্ছে ঢাকার আজাদ সিনেমা হল, নীলফামারীর বাবু টকিজ এবং নওগাঁর ফাইভ স্টার সিনেমা হলে। বলা যায়, প্রত্যাশা অনুযায়ী এবারের ঈদে ব্যর্থ হয়েছেন এ অভিনেত্রী। সিনেমাটি নিয়ে প্রথম থেকেই আশার পারদ বুনে ছিলেন পূজা। কিন্তু এভাবে মুখ থুবড়ে পড়বে এটি হয়তো ভাবেননি। মুক্তির আগে তিনি বলেছিলেন, ‘এ সিনেমার জার্নিটা আমার কাছে খুবই স্পেশাল। গল্প, চরিত্র, গান সবকিছুতেই ভিন্নতা রয়েছে।’ আশাবাদী ছিলেন নায়ক আদর আজাদও। তিনি বলেছিলেন, এ সিনেমা ছিল তার অভিনয় জীবনের সেরা সিনেমা। কিন্তু সিনেপ্লেক্স থেকে কেন নামিয়ে দেওয়া হলো? এ বিষয়ে পূজা কিছু না বললেও, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এআর মুভি নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, নিজেদের সিদ্ধান্তেই মাল্টিপ্লেক্সে থেকে নামিয়ে নেওয়া হয়েছে। কারণ, শো-টাইম দর্শকদের উপযুক্ত সময় অনুযায়ী নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। যে কারণে তাদের স্বার্থ বিবেচনায় টিম এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিনেমাটি মুক্তির পর থেকেই প্রত্যাশিত সাড়া মিলছিল না দর্শকদের। প্রতিক্রিয়া ছিল হতাশাজনক। মাল্টিপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, সিনেমার ক্ষেত্রে দর্শকচাহিদার ব্যাপারটি তাদের কাছে প্রধান বিবেচ্য বিষয়। ঈদে মুক্তি পাওয়া ছয় সিনেমার মধ্যে যেসব সিনেমার দর্শকচাহিদা বেশি, সেগুলো তাদের প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হচ্ছে। ‘টগর’ সিনেমায় আদর-পূজা ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন আজাদ আবুল কালাম, রোজী সিদ্দিকী, সুমন আনোয়ার, যোজন, এল আর খান সীমান্ত, শরিফুল প্রমুখ।
১ মাস আগে