একটা লড়াই হয়েছে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আরেকটা লড়াই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত জাতীয় সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, ‘আগামীর বাংলাদেশে আরেকটা লড়াই হবে। একটা লড়াই হয়েছে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে।আরেকটা লড়াই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে। সেই লড়াইয়েও আমরা জয় লাভ করব।’ ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আজকের সমাবেশের আয়োজন করতে গিয়ে, এখানে আসতে গিয়ে আমাদের তিন ভাই ইন্তেকাল করেছেন। তাদের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করি।আল্লাহ তাদের জান্নাত দিন। পরিবারকে ধৈর্য ধরার তাওফিক দিন।’ তিনি বলেন, ‘আবু সাঈদরা যদি না দাঁড়াত, তাহলে ২৪ জীবনবাজি রাখা যুদ্ধটা না হলে, আজকে যারা বিভিন্ন দাবিদাওয়া করছেন, তাদের দাবিগুলো কোথায় থাকত। সুতরাং আমাদের প্রিয় শহীদদের হেয় করা যাবে না।অহংকার করা যাবে না। কোনো রাজনৈতিক দলকে অপমান করা যাবে না। যদিও কেউ এগুলো করে, তাহলে তাদের মধ্যে ফ্যাসিবাদের রোগ বীজ বুনেছে।’
মহান মে বিদস উপলক্ষে ‘অনিন্দ্য সমাজ গড়তে আমাদের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা, ‘বাসপ পুরস্কার’-২০২৫ প্রদান ও কবিতা আবৃত্তি অনুষ্ঠান হয়ে গেলো ১০ মে ২০২৫, শনিবার, সন্ধ্যা ৬ টায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক তথ্য সচিব ও বাসপের প্রধান উপদেষ্টা সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ। প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন: লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) মহসিন আলী খান পিএসসি। সভাপতিত্ব করেন সংগঠক ও নির্মাতা কবি রানা হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. ইঞ্জিনিয়ার এম শাহ্ আলম, তরুণ রাজনীতিবীদ শামীম রেজা, অভিনেত্রী ইসরাত জাহান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন: কবি শান্তনা মিঠু ও গাজী জাকির হোসেন।‘বাসপ পুরস্কার’-২০২৫ পেয়েছেন তারা হলেন : ড. ইঞ্জিনিয়ার এম শাহ্ আলম (বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সমাজসেবক), মহসিন আলী খান (সংস্কৃতি সেবক), টুটুল চৌধুরী (অভিনেতা), মোঃ তজিরুল ইসলাম (নজরুল সংগীত শিল্পী), নুরুন নাহার রীনা (কবি ও সাহিত্যিক), জাফরীন ফেরদৗসী (শিক্ষক ও সংগীতশিল্পী), সিনিগদা হোসেইন (অভিনেত্রী), মোঃ হারুন অর রশিদ (বিশিষ্ট দলিল লেখক), আফসার আশরাফী (কবি), যোসেফ হালদার (কবি ও সাহিত্যিক), মোঃ মঈন (শিশুশিল্পী)।শুরুতেই পবিত্র কোনআন তেলাওয়াত: মৃদুল ইবনে হোসেন। আবৃত্তি পরিবেশন করেন টুটুল চৌধুরী, রাহিমা আক্তার নীপা, গাজী জাকির হোসেন, শামীম রেজা। অনুষ্টান উপস্থাপনা করেন যাইন খান প্যারিস।
আজ ২৬ এপ্রিল, সাটুরিয়ার ইতিহাসের এক শোকাবহ দিন। ১৯৮৯ সালের এই দিনে পৃথিবীর অন্যতম ভয়াবহ টর্নেডোর আঘাতে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় ঘটেছিল ধ্বংসের বিভীষিকা। আজ সেই হৃদয়বিদারক ঘটনার ৩৬ বছর পূর্তি। ৩৬ বছর আগে এই দিনে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় নেমে এসেছিল ইতিহাসের এক ভয়াল দিন। ১৯৮৯ সালের ২৬ এপ্রিল বিকেলে বয়ে যাওয়া ধ্বংসাত্মক টর্নেডো মুহূর্তের মধ্যে শেষ করে দিয়েছিল হাজারো জীবন, স্বপ্ন আর সুখের সংসার। এখনও এই দিনটি এলেই আতঙ্ক আর কান্নায় ভিজে ওঠে সাটুরিয়ার মানুষ। মাত্র কয়েক মিনিটের তাণ্ডবে সাটুরিয়ার প্রাণ হারায় প্রায় ১,৩০০ মানুষ। আহত হয় অন্তত ১২ হাজার এবং প্রায় এক লাখ মানুষ হয়ে পড়ে গৃহহীন। উপজেলার ২০টি গ্রামের কয়েক হাজার ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, বাজার, স্কুল-কলেজ, সরকারি স্থাপনা ও হাজার হাজার গাছপালা একেবারে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। বিশেষ করে দুই শতাব্দী পুরনো সাটুরিয়া বাজার সম্পূর্ণরূপে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। সেদিনের ভয়াল স্মৃতিচারণ করে সাটুরিয়া বাজারের প্রবীণ ব্যবসায়ী মো. পিয়ার আলী বলেন,"সকাল থেকেই প্রচণ্ড গরম ছিল, বাতাসের কোনো অনুভূতিই ছিল না। বিকাল ৫টার দিকে হঠাৎ আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রবল শব্দে ধেয়ে আসে সেই বিভীষিকাময় টর্নেডো। মুহূর্তেই সবকিছু ধূলিসাৎ হয়ে যায়।" তিনি আরও জানান,"আমি নিজেও মাথায় গুরুতর আঘাত পাই। বহুদিন বিছানায় পড়ে ছিলাম। প্রতিবছর ২৬ এপ্রিল এলেই সেই ভয়ঙ্কর দিনটির দৃশ্য এখনো চোখের সামনে ভেসে ওঠে।" আরেকজন স্থানীয় বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন,"আমরা চোখের সামনে দেখেছি কীভাবে পুরো গ্রামটা ধ্বংস হয়ে গেল। মানুষজন কাঁদছিল, আর্তনাদ করছিল, কেউ কেউ প্রিয়জনের খোঁজে ছুটছিল ধ্বংসস্তূপের মাঝে।" টর্নেডোটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে অনেকে কয়েকশ মিটার দূরে ছিটকে পড়েন। বহু পরিবার পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, কয়েক হাজার বাড়িঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়, প্রায় ৪০০ দোকানপাট উড়ে যায়, সরকারি খাদ্য গুদামসহ বহু সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সরকারি তথ্যমতে, এটি ছিল ইতিহাসের অন্যতম শক্তিশালী এবং প্রাণঘাতী টর্নেডোগুলোর একটি। টর্নেডোর পরপরই দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবী দল ও সরকার ব্যাপক উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। পুনর্বাসন কার্যক্রমও চালানো হয়, তবে হারানো প্রাণ আর ফিরে আসেনি। প্রায় ৪০০ দোকান সম্পূর্ণ ভেঙে যায়, সাটুরিয়ার সরকারি খাদ্য গুদামসহ গুরুত্বপূর্ণ ভবন ধ্বংস হয়। বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ফসলের অপূরণীয় ক্ষতি হয়। বহু পরিবার হারায় তাদের পুরো সদস্য পরিবারকে। সেই সময় সরকারের পাশাপাশি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংস্থা ও স্বেচ্ছাসেবক দল উদ্ধার কার্যক্রম ও পুনর্বাসন কাজে অংশ নেয়। বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ টর্নেডোর তালিকায় স্থান পাওয়া এই দুর্যোগটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় হয়ে রয়েছে। ৩৬ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও সাটুরিয়ার মানুষ সেই দিনের ভয়াবহতা ভুলতে পারেনি। স্থানীয়দের প্রত্যাশা, এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় আরও কার্যকর প্রস্তুতি ও সচেতনতা গড়ে তোলা হোক। আজ সাটুরিয়ার বিভিন্ন স্থানে নিহতদের স্মরণে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। একই সাথে দুর্যোগ মোকাবেলায় সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য,১৯৮৯ সালের ২৬ এপ্রিল বিকেল।সাটুরিয়ার আকাশ ধীরে ধীরে কালো হয়ে উঠছিল। বাতাস যেন থমকে গিয়েছিল। আশপাশের প্রকৃতি নীরব। আর ঠিক সেই নিস্তব্ধতা ভেঙে, বিকাল ৫টার দিকে, নেমে আসে এক বিভীষিকাময় দানব—টর্নেডো। মুহূর্তেই যেন সময় থেমে যায়, জীবন থেমে যায়। আজ ৩৬ বছর পরও, সেই দিনের কথা মনে করলেই শিউরে ওঠেন মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার মানুষ। আকাশে-বাতাসে তখন শুধুই কান্না আর আর্তনাদ। প্রচণ্ড ঘূর্ণির শক্তিতে উড়ে গিয়েছিল ঘরবাড়ি, দোকানপাট, গাছপালা, মানুষের জীবন। ১৯৮৯ সালে দেশে দুর্যোগ পূর্বাভাসের অবকাঠামো ছিল না বললেই চলে। জনসাধারণের কাছে আগাম সতর্কবার্তা পৌঁছায়নি। ফলে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল ভয়াবহ মাত্রায়। টর্নেডোর পরে সাটুরিয়ার মানুষ শুরু করে নতুন করে বেঁচে থাকার লড়াই। সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতায় শুরু হয় পুনর্বাসন। নতুন করে বাজার গড়ে ওঠে, ঘরবাড়ি বানানো হয়। কিন্তু হারিয়ে যাওয়া প্রিয়জন, স্মৃতি আর জীবনের স্বপ্নের কোনোটাই ফিরে আসেনি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আজ অনেক উন্নতি হয়েছে। তবে টর্নেডো-জাতীয় আকস্মিক দুর্যোগ মোকাবেলায় আরও সচেতনতা এবং আগাম প্রস্তুতির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সাটুরিয়ার সেই ভয়াল টর্নেডো আমাদের মনে করিয়ে দেয়, প্রকৃতির সামনে মানুষ কতটা ক্ষণিক, আর বেঁচে থাকার লড়াই কতটা দুর্দান্ত। মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি মো: আরিফুর রহমান অরি
আজ ঢাকা যেন হয়ে উঠেছে ফিলিস্তিনের প্রতিচ্ছবি। রোদে পুড়ে, ঘামে ভিজে, গলা ফাটিয়ে শত শত মানুষ স্লোগান দিচ্ছেন ‘তুমি কে আমি কে, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’। চারপাশে শোভা পাচ্ছে লাল-সবুজ আর সাদা-কালো রঙের পতাকা।গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর নির্বিচার গণহত্যা আর বর্বরতার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে রাজধানী। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এবং আশপাশের এলাকাগুলো পরিণত হয়েছে জনসমুদ্রে। একটাই দাবি— গণহত্যা বন্ধ করো, ফিলিস্তিনকে স্বাধীন কর।‘মার্চ ফর গাজা’ গণজমায়েত কর্মসূচিতে যোগ দিতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুল মানুষ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যান। শাহবাগ ও আশপাশে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শনিবার বিকাল ৩টায় মূল কর্মসূচির মাধ্যমে শেষ হয়। সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসে মানুষ। মিছিলগুলো কোনোটি শাহবাগ দিয়ে, দোয়েল চত্বর দিয়ে, নীলক্ষেতের দিক থেকে উদ্যানে মিলিত হতে দেখা যায়। বেশিরভাগ মানুষের হাতে দেশের ও ফিলিস্তিনের পতাকা দেখা যায়।‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম এ কর্মসূচির আয়োজন করে। সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল সহকারে মানুষ আসতে শুরু করেন উদ্যানে। শাহবাগ, দোয়েল চত্বর, নীলক্ষেত, টিএসসি, পলাশীসহ আশপাশের এলাকার রাস্তাগুলোয় একের পর এক মিছিল ঢুকে পড়ে মূল সমাবেশস্থলে। অংশগ্রহণকারীদের হাতে ছিল বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পতাকা এবং নানান প্রতিবাদী স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড। প্ল্যাকার্ডগুলোর মধ্যে লেখা ছিল— ‘গাজা রক্তে রঞ্জিত, বিশ্ব কেন নীরব?’, ‘ফিলিস্তিন মুক্ত কর’, ‘ইসরাইলি দখলদারিত্বের অবসান চাই’।সমাবেশস্থলে দেখা যায় নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, রাজনীতিক, ইসলামি বক্তা, মানবাধিকারকর্মী এবং সংস্কৃতিকর্মীরা এক কাতারে দাঁড়িয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে স্লোগান দিচ্ছেন। আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, এ কর্মসূচির উদ্দেশ্য আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা এবং গাজায় চলমান হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করা।সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের কেউ কেউ অভিনব পন্থায় প্রতিবাদ জানান—ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি বা মুখোশ বহন করে, যা বিশ্ব রাজনীতিতে এ গণহত্যার সহযোগীদের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করে। অনেকেই রক্তাক্ত (প্রতীকী) পোশাক পরে অংশগ্রহণ করেন, যা গাজার পরিস্থিতিকে দৃশ্যমান করে তোলে।
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ইসলামের আলোকে দেশ প্রেম ও মানবিক মূল্যবোধ শীর্ষক আলোচনা, ‘নক্ষত্র সাহিত্য পুরস্কার’-২০২৫ প্রদান অনুষ্ঠান হয়ে গেলোদেশের শিল্প-সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে নক্ষত্র সাহিত্য সংসদ। আর শিল্প-সাহিত্য নিয়ে কাজ করতে গিয়ে অর্জন করেছে নানা বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতা। আমাদের জাতীয় দিবসগুলোর পাশাপাশি ভূমিকা রেখেছে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ইসলামের আলোকে দেশ প্রেম ও মানবিক মূল্যবোধ শীর্ষক আলোচনা, ‘নক্ষত্র সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫ প্রদান ও ইসলামীক কবিতা আবৃত্তি ও সংগীত অনুষ্ঠান হয়ে গেলো গত ১৫ মার্চ ২০২৫, শনিবার,বিকেল ৪টা, বিশ্ব-সাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে । অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন: ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)এর সাবেক সভাপতি এলাহী নেওয়াজ খান। প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন: লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) ও লেখক মহসিন আলী খান । মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন: ড. ইঞ্জিনিয়ার এম শাহ্ আলম (বীর মুক্তিযোদ্ধা)। সভাপতিত্ব করেন সংগঠক ও নির্মাতা কবি রানা হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন: (বিজ্ঞ আইনজীবি), এ্যাডভোকেট মোঃ মোজাহার আলী, (বিজ্ঞ আইনজীবি), গণতান্ত্রিক যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আমান সোবহান, বাংলাদেশ মানবাধিকার ফোরামের সভাপতি এ্যাডভোকেট ফারুক আহমেদ, কবি বছিরুল আলম নানুœ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি শামীম মাহমুদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন: কবি শান্তনা মিঠু। বিভিন্ন শাখায় ১২জনগুণি মানুষর হাতে তুলে দেওয়া হয় ‘নক্ষত্র সাহিত্য পুরস্কার’-২০২৫।
টানা দুই বছর ব্যাপক উল্লম্ফনের পর গত বছর কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে বিদেশে কর্মসংস্থান। আগের বছরের তুলনায় গত বছর তিন লাখ কর্মীর কর্মসংস্থান কমে গেছে। এ বছর তা আরও কমার শঙ্কা আছে। তবে আশার কথা হলো, বিদেশে কর্মী কমলেও বেড়েছে প্রবাসী আয়। বড় আকারের তিনটি শ্রমবাজার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিদেশে কর্মসংস্থানে বাংলাদেশের জন্য এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এখন একমাত্র ভরসা হিসেবে টিকে আছে সৌদি আরবের শ্রমবাজার। বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, ২০২১ সালে বিভিন্ন দেশে কাজ নিয়ে গেছেন ৬ লাখ ১৭ হাজার কর্মী। পরের বছর তা বেড়ে দাঁড়ায় ১১ লাখের বেশি কর্মী। ২০২৩ সালে তা আরও ২ লাখ বেড়ে কর্মী যাওয়ার সংখ্যা ১৩ লাখ ছাড়িয়ে যায়। তবে গত বছর তা তিন লাখ কমে দাঁড়ায় ১০ লাখে। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ কর্মী গেছেন মাত্র পাঁচটি দেশে। এগুলো হচ্ছে সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, কাতার, সিঙ্গাপুর ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)।তবে মালয়েশিয়া ও আমিরাতের শ্রমবাজার বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশের জন্য আরেক বড় শ্রমবাজার ওমানেও কর্মী নিয়োগ বর্তমানে বন্ধ। ফলে চলতি বছর বিদেশে কর্মী পাঠানো আরও কমার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। মালয়েশিয়ায় ২০২৩ সালে কাজ নিয়ে যান সাড়ে তিন লাখের বেশি কর্মী। কিন্তু গত জুন থেকে দেশটির শ্রমবাজার বন্ধ হয়ে গেছে। গত বছর দেশটিতে সব মিলে কর্মী যেতে পেরেছেন এক লাখের কম। তার মানে আগের বছরের তুলনায় গত বছর দেশটিতে নতুন কর্মসংস্থান কমেছে দুই লাখের বেশি। ওমানে ২০২৩ সালে কর্মী গিয়েছিলেন সোয়া লাখের বেশি। গত বছর শ্রমবাজারটি বন্ধ থাকায় কর্মী গেছেন মাত্র ৩৫৮ জন। তবে কর্মসংস্থান বেড়েছে সৌদি আরবে। দেশটিতে ২০২৩ সালে প্রায় ৫ লাখ কর্মী গেলেও গত বছর এটি বেড়ে সোয়া ৬ লাখ ছাড়িয়েছে। এ বছর এমন ধারা অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর সৌদি আরবেও নতুন কর্মসংস্থান কমতে পারে। এ ছাড়া সৌদি আরব গিয়ে চুক্তি অনুসারে কাজ না পাওয়ার অভিযোগ আছে। এতে কর্মীরা অবৈধ হয়ে পড়ছেন এবং দেশটির পুলিশের হাতে আটক হয়ে দেশে ফিরে আসছেন। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, দেশটিতে ফুটবল অবকাঠামো নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এতে কর্মীর চাহিদা আসছে নিয়মিত। গত তিন মাসে বিদেশে কর্মসংস্থানের ৮০ শতাংশের বেশি হয়েছে সৌদিতে। আগামী জুনের পর দেশটিতে কর্মী পাঠানো কমতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।গত বছর সব মিলে প্রবাসী আয় এসেছে ২ হাজার ৬৭০ কোটি ডলার। দেশের ইতিহাসে আগে কোনো বছর এত বেশি প্রবাসী আয় আসেনি। এর আগে ২০২১ সালে সর্বোচ্চ ২ হাজার ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছিল প্রবাসী আয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর টাকা পাচার কমেছে। আমদানি-রপ্তানির ব্যবসা-বাণিজ্যে কিছুটা স্থবিরতা আছে। এতে হুন্ডি লেনদেনও কমে গেছে। ফলে প্রবাসীরা আনুষ্ঠানিক খাতে টাকা পাঠানো বাড়িয়েছেন। রামরু বলছে, শ্রমবাজারের অন্যতম চ্যালেঞ্জ হলো একক দেশনির্ভরতা। ঘুরেফিরে হাতে গোনা কয়েকটি দেশের শ্রমবাজারে সীমিত হয়ে আছে বিদেশে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থান। এতে কর্মসংস্থান ধরে রাখা নিয়ে ঝুঁকি থেকে যায়।
তিন দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে কমেছে ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ ও দেশি আলুর দাম। ভারতীয় পেঁয়াজ কেজি প্রতি ১০ টাকা কমে ৪৫ টাকায় এবং দেশি নতুন জাতের আলু ৩০ টাকা কমে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি বেশি এবং দেশি নতুন আলু বাজারে উঠতে শুরু করাতে কমতে শুরু করেছে দাম বলছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। দাম কমাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। সোমবার সকালে হিলি বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়। হিলি বাজারে আলু ও পেঁয়াজ কিনতে আসা আমিনুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিনের তুলনায় আলু এবং পেঁয়াজের দাম কমেছে। তবে চাল, তেল, চিনি, বিভিন্ন মসলার দাম কমেনি। বাজার ব্যবস্থা খুব দুর্বল। সাধারণ মানুষের নাগালের বাহিরে গেছে সব কিছু। আমরা সঠিকভাবে সংসার পরিচালনা করতে পারছিনা। সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোন পদক্ষেপ নেই বললেই চলে। হিলি বাজারের আলু ও পেঁয়াজ বিক্রেতা রায়হান হোসেন বলেন, দেশের বাজারে দেশি আলু এবং ভারত থেকে পেঁয়াজের সরবারহ বৃদ্ধির কারণে কমতে শুরু করেছে দাম। এতে করে আগের থেকে বিক্রিও বেড়েছে। ক্রেতারা তাদের চাহিদা মত পণ্য কিনছেন। আমরা কম দামে কিনে কম দামে বিক্রি করছি। হিলি কাস্টমসের তথ্য মতে, গতকাল রোববার ভারতীয় ২০ ট্রাকে ৫৮০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে।
পাকিস্তান থেকে জাহাজে করে পণ্য বাংলাদেশে পৌঁছেছিল কয়েকদিন আগেই। তা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। ফের সেই একই জাহাজ করাচি থেকে চট্টগ্রামে আসছে দ্বিগুণেরও বেশি পণ্য নিয়ে। ২০ ডিসেম্বর জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় পৌঁছাবে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তপক্ষ। তবে প্রশ্ন উঠেছে- কি আছে এবারের জাহাজে? এর আগেও একই পাকিস্তানি জাহাজ বাংলাদেশে এসেছিল পণ্য নিয়ে। যা নিয়ে নানান জল্পনা তৈরি হয়েছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তান থেকে আসা ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’ নামক জাহাজটি এবার বাংলাদেশের চট্টগ্রামে পৌঁছাচ্ছে ৮২৫ টিইইউএস কনটেইনার নিয়ে। এর আগেরবার যখন জাহাজটি বাংলাদেশে এসেছিল, তখন তাতে ছিল ৩৭০ টিইইউএস কনটেইনার। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এবার গতবারের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি পণ্য নিয়ে চট্টগ্রামে পৌঁছাচ্ছে পাকিস্তানি জাহাজটি। পাকিস্তানের করাচি বন্দরের সঙ্গে চট্টগ্রামের সরাসরি কনটেইনার জাহাজ যোগাযোগ চালু হয়েছে চলতি বছরের ১৪ নভেম্বর। সেবার যে ৩৭০ টিইইউএস কনটেইনার বাংলাদেশে পৌঁছেছিল, তার মধ্যে ২৯৭ টিইইউএস কনটেইনার এসেছিল পাকিস্তান থেকে। বাকি ৭৩ টিইইউএস কনটেইনার সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বাংলাদেশে নিয়ে গিয়েছিল ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’। দ্বিতীয়বারের মতো গত ১১ ডিসেম্বর পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দেয় ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’ জাহাজ। রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯ ডিসেম্বরের আগেই বঙ্গোপসাগরে ঢুকেছে জাহাজটি। এই আবহে মনে করা হচ্ছে, ২১ বা ২২ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাস করতে পারে ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’। পণ্য খালাস করে ২৩ ডিসেম্বর নাগাদ জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দর ছাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করার পর যাবে ইন্দোনেশিয়ায়। সেখান থেকে মালেশিয়া, দুবাই হয়ে পাকিস্তানের করাচি ফিরবে। তবে এই জাহাজে কি কি পণ্য রয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। এ নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, শিপিং সংস্থাটি অনলাইনে জানাবে যে তাদের জাহাজের কনটেনারে কি কি পণ্য আছে। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
চেক প্রতারণার মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) জিয়াদুর রহমান আজ রোববার এ আদেশ দেন। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী আইএফআইসি ব্যাংকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাহিবুর রহমান। আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, চেক প্রতারণার অভিযোগে গত ১৫ ডিসেম্বর সাকিব আল হাসানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন আইএফআইসি ব্যাংকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাহিবুর রহমান। আদালত সেদিন সাকিব আল হাসানসহ চারজনকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারির আদেশ দিয়েছেন। মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ঠিক করা হয়েছিল ১৯ জানুয়ারি।সাকিব আল হাসানতবে আজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের পরিচালক ইমদাদুল হক ও মালাইকার বেগম। কিন্তু সাকিব আল হাসান ও অ্যাগ্রো ফার্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী শাহাগীর হোসাইন আদালতে হাজির হননি। আজ বাদীপক্ষ থেকে সাকিব আল হাসান ও গাজী শাহাগীরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। আদালত পরে সাকিব আল হাসান ও গাজী শাহাগীরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। মামলার আরজিতে অভিযোগ আনা হয়েছে, সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সাকিব। সাত বছর আগে (২০১৭ সাল) আইএফআইসি ব্যাংকের বনানী শাখা থেকে প্রতিষ্ঠানটি দেড় কোটি টাকা ঋণ নেয়। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করেনি প্রতিষ্ঠানটি। পরে ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যাংকের পক্ষ থেকে নোটিশ দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেড চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ৪ কোটি ১৪ লাখ টাকার দুটি চেক দেয় ব্যাংকে।তবে অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় চেক দুটি প্রত্যাখ্যান করা হয়। পরে টাকা পরিশোধ করার জন্য সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডকে আইনি নোটিশ পাঠায় আইএফআইসি ব্যাংক। এরপরও টাকা পরিশোধ না করায় ১৫ ডিসেম্বর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের মালিক সাকিব আল হাসানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে।
ভারতের হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা অভিনেত্রী শেফালী জারিওয়ালা আর নেই। ৪২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি।ভারতীয় গণমাধ্যম পিংকভিলা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে শেফালীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পৌঁছানোর পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।অভিনেত্রীর স্বামী অভিনেতা পরশ ত্যাগী তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে। তবে এখনো পর্যন্ত শেফালীর মৃত্যুর নির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে তিনি হার্ট অ্যাটাক করেছেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে। যদিও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।২০০২ সালে ‘কাঁটা লাগা’ গানের রিমেক ভিডিওতে পারফর্ম করার মাধ্যমে আলোচনায় আসেন শেফালী। এরপর তেমন উল্লেখযোগ্য আর কোনো প্রজেক্টে কাজ করতে না পারলেও সেই ‘কাঁটা লাগা’ গানের কারণেই তাকে মনে রেখেছেন ভক্তরা। ২০১৯ সালে রিয়েলিটি শো বিগ বস ১৩-তেও অংশগ্রহণ করেছিলেন মুম্বাইয়ে জন্ম নেওয়া এই অভিনেত্রী।
১২ ঘণ্টা আগে
একটা লড়াই হয়েছে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আরেকটা লড়াই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত জাতীয় সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, ‘আগামীর বাংলাদেশে আরেকটা লড়াই হবে। একটা লড়াই হয়েছে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে।আরেকটা লড়াই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে। সেই লড়াইয়েও আমরা জয় লাভ করব।’ ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আজকের সমাবেশের আয়োজন করতে গিয়ে, এখানে আসতে গিয়ে আমাদের তিন ভাই ইন্তেকাল করেছেন। তাদের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করি।আল্লাহ তাদের জান্নাত দিন। পরিবারকে ধৈর্য ধরার তাওফিক দিন।’ তিনি বলেন, ‘আবু সাঈদরা যদি না দাঁড়াত, তাহলে ২৪ জীবনবাজি রাখা যুদ্ধটা না হলে, আজকে যারা বিভিন্ন দাবিদাওয়া করছেন, তাদের দাবিগুলো কোথায় থাকত। সুতরাং আমাদের প্রিয় শহীদদের হেয় করা যাবে না।অহংকার করা যাবে না। কোনো রাজনৈতিক দলকে অপমান করা যাবে না। যদিও কেউ এগুলো করে, তাহলে তাদের মধ্যে ফ্যাসিবাদের রোগ বীজ বুনেছে।’
প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার, পদ্ধতিগত সংস্কারের মাধ্যমে আইনি সহায়তায় বিচারিক কার্যক্রম আরও সহজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তিনি বলেছেন, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, ন্যায়বিচার যাতে বিলম্বিত না হয়।শনিবার ‘বিচারিক স্বাধীনতা ও দক্ষতা’ শীর্ষক এক কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি, নিম্ন আদালতের বিচারকরা কনফারেন্সে অংশ নেন।১৯৭১ সালের শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, যাদের আত্মত্যাগ আমাদের স্বাধীন জাতির ভিত্তিস্থাপন করেছিল। বিজয়ের এই মাস ডিসেম্বর, তাদের অতুলনীয় সাহস এবং উৎসর্গের একটি শক্তিশালী অনুস্মারক হিসেবে কাজ করে।২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র নেতৃত্বাধীন বিপ্লবের দৃঢ় চেতনাকেও স্মরণ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, জুলাই বিপ্লব নিপীড়নকে উৎখাত এবং ন্যায়বিচার, সাম্য এবং মানবতা পুনরুদ্ধারের লড়াই।প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের ইতিহাসের এই সংজ্ঞায়িত মুহূর্তগুলো আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, ন্যায়বিচারের সন্ধান একটি ক্ষণস্থায়ী প্রচেষ্টা নয় বরং একটি আজীবন প্রতিশ্রুতি যা আমাদের বিচারিক মিশনের ভিত্তি তৈরি করে।প্রধান বিচারপতি বলেন, সম্প্রতি একজন বিচারপ্রার্থী আপিল বিভাগ বেঞ্চের কাছে যান। ওই বিচারপ্রার্থী কাঁপাকণ্ঠে কথা বললেন। কান্নায় ভেঙে পড়েন। বিলম্বিত বিচারের কারণে ওই বিচারপ্রার্থী তার দুর্দশার কথা তুলে ধরেন। তার কষ্ট দেখে আমি তাকে আশ্বস্ত করেছিলাম যে আগামী মাসে তার মামলার শুনানি হবে। তার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা আমাকে মনে করিয়ে দিয়েছে যে, বিচারে বিলম্ব হ্রাস করা নিছক প্রশাসনিক লক্ষ্য নয়, বরং এটি নৈতিক বাধ্যতামূলক।
আজ বিকেল ৪ টায়, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে “ফেনী বাঁধ নির্মাণ ও সংরক্ষণ পরিষদের”র উদ্যোগে এক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে ফেনী জেলার বিভিন্ন এলাকায় টানা বৃষ্টিপাত ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যা, মানুষের জানমাল ও জীবিকা বিপন্ন হওয়ার প্রেক্ষাপটে টেকসই বাঁধ নির্মাণ ও সংরক্ষণের দাবিতে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।মানববন্ধনে ফেনী বাঁধ নির্মাণ ও সংরক্ষণ পরিষদের আহবায়ক সাইদুল ইসলাম বলেন, “প্রতিবছর এই সময় ফেনীতে পাহাড়ি ঢল ও অপ্রতিরোধযোগ্য পানি প্রবাহের কারণে গ্রামগঞ্জ প্লাবিত হয়, ফসল, ঘরবাড়ি, রাস্তা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ে। বারবার প্রকল্পের নামে অস্থায়ী ও দুর্বল বাঁধ নির্মাণ করে সমস্যার স্থায়ী সমাধানের পরিবর্তে প্রতিবছর মানুষকে দুর্ভোগের ও ক্ষয়ক্ষতির শিকার হতে হয়।তাই অবিলম্বে ফেনী জেলার নদ-নদী ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় টেকসই বাঁধ ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এছাড়াও অনতিবিলম্বে পাঁচ দফা না মানলে আরো কঠোর কর্মসূচি প্রদান করা হবে। আমাদের দাবিসমুহ:১. ফেনী জেলা পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলীকে অপসারণ ও শাস্তি দিতে হবে। ২. সরকারের স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প ইমেডিয়েটলি একনেকে পাশ করে বাস্তবায়নের জন্য সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দিতে হবে। ৩. প্রতি মাসে ফেনী পাউবো মাঠে গণশুনানির মাধ্যমে জনগনকে বাঁধ নির্মাণ ও সংরক্ষণ আপডেট জানাতে হবে। ৪. এবারের বন্যার জন্য দায়ী বাঁধ নির্মাণের ঠিকাদারসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ৫. নতুন টেকসই বাঁধ নির্মাণের পাশাপাশি বাঁধ সংরক্ষণের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী দিদারুল আলম মজুমদার বলেন, টিএসসির অনুদান ও প্রধান উপদেষ্টার তহবিলের টাকা ফেনীর জন্য তুলা হলেও এ টাকা কোন কাজে লাগায় নাই। এ টাকার হিসেব সরকারকে দিতে হবে। শুধু এই টাকা দিয়েও বাঁধের কাজ শুরু করা যেতো।বিশিষ্ট লেখক ও চিন্তাবীদ ওমর ফারুক বলেন, এ বন্যার দায় কিছুতেই ফেনী জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড এড়াতে পারে না। তাই দায়িত্বজ্ঞানহীন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নিতে হবে। ইন্জিনিয়ার এনামুল হক আজিম বলেন, রেমিট্যান্স এর দিক দিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জেলা ফেনী হলেও এ জেলার বন্যা, বাঁধ নিয়ে সরকার উদাসীন। আমরা ফেনীবাসী ত্রান নয়, টেকসই বাঁধ চাই।এছাড়াও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন আজিজুর রহমান রিজভী, ইমাম উদ্দিন, রাউফু রাসুলুন জ্যোতি, আরিফুল ইসলাম আসিফ, ইমাম আবু জোবায়ের, আবদুর রহিম, তারেক মনোয়ার, ইব্রাহিম, নুরে আলম অপু ও আল আমিন প্রমুখ। সকল বক্তার একটাই আহ্বান—"প্রকল্প নয়, চাই টেকসই বাঁধ ও স্থায়ী সমাধান! মানববন্ধনে শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি এবং ঢাকাস্থ ফেনীবাসী উপস্থিত ছিলেন।
অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ ২০১৭ সালে ‘আমরা আবার ফিরবো কবে’ নাটকের মধ্য দিয়ে অভিনয়ে অভিষেক হয় তার। মায়ের ইচ্ছাতে তিনি অভিনয় শুরু করেন। ২০১৮ সালে তিনি বিকাশের একটি বিজ্ঞাপনে মাশরাফি বিন মর্তুজার সঙ্গে কাজ করেন। সে বছরই ভালোবাসা দিবসে ‘এক্স বয়ফ্রেন্ড’ নাটকে কাজ করে বেশ পরিচিতি পান তিনি। এরপর আর তাকে পেছনে ফিরে যেতে হয়নি। নাটক-বিজ্ঞাপনের পর সিনেমাতেও নিয়মিত কাজ করে চলেছেন তাসনিয়া ফারিণ।অভিনেত্রী অভিনয় দক্ষতা দিয়ে ভক্ত-অনুরাগীদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। সেই সঙ্গে এর পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব থাকেন তিনি। ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে শেয়ার করে নেন নিজের ভালো লাগার-মন্দ লাগার বিষয়গুলো। সেই ধারাবাহিকতায় এবার সামাজিক মাধ্যমে বেশ কিছু ছবি নেটিজেনদের মাঝে শেয়ার করেছেন তিনি।তাসনিয়া ফারিণশেয়ার করা ছবিতে দেখা যায়, প্রকৃতির মাঝে ধরা দিয়েছেন ফারিণ। চোখের চাহনি, মিষ্টি হাসি আর খোলা চুলে ভক্তদের মাঝে নজর কেড়েছেন অভিনেত্রী। শেয়ার করা ছবির ক্যাপশনে ফারিণ লিখেছেন—এই শহরটা থেকে একটু দূরে কোথাও চলে যাই কিছুক্ষণ।আর এতেই ভক্ত-অনুরাগীরা অভিনেত্রীকে প্রশংসায় ভাসিয়ে তোলেন। কমেন্ট বক্সে অভিনেত্রীর রূপের প্রশংসা করে এক নেটিজেন লিখেছেন—ওয়াও কি সুন্দর প্রকৃতি! আর তার সঙ্গে আমাদের সুন্দরী ফারিণ আপু। আরেক নেটিজেন ভালোবাসার ইমোজি সঙ্গে জুড়ে দিয়ে লিখেছেন—আপনার থেকেও বেশি সুন্দর আপনার ওই হাসিমাখা মুখ।
অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ ২০১৭ সালে ‘আমরা আবার ফিরবো কবে’ নাটকের মধ্য দিয়ে অভিনয়ে অভিষেক হয় তার। মায়ের ইচ্ছাতে তিনি অভিনয় শুরু করেন। ২০১৮ সালে তিনি বিকাশের একটি বিজ্ঞাপনে মাশরাফি বিন মর্তুজার সঙ্গে কাজ করেন। সে বছরই ভালোবাসা দিবসে ‘এক্স বয়ফ্রেন্ড’ নাটকে কাজ করে বেশ পরিচিতি পান তিনি। এরপর আর তাকে পেছনে ফিরে যেতে হয়নি। নাটক-বিজ্ঞাপনের পর সিনেমাতেও নিয়মিত কাজ করে চলেছেন তাসনিয়া ফারিণ।অভিনেত্রী অভিনয় দক্ষতা দিয়ে ভক্ত-অনুরাগীদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। সেই সঙ্গে এর পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব থাকেন তিনি। ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে শেয়ার করে নেন নিজের ভালো লাগার-মন্দ লাগার বিষয়গুলো। সেই ধারাবাহিকতায় এবার সামাজিক মাধ্যমে বেশ কিছু ছবি নেটিজেনদের মাঝে শেয়ার করেছেন তিনি।তাসনিয়া ফারিণশেয়ার করা ছবিতে দেখা যায়, প্রকৃতির মাঝে ধরা দিয়েছেন ফারিণ। চোখের চাহনি, মিষ্টি হাসি আর খোলা চুলে ভক্তদের মাঝে নজর কেড়েছেন অভিনেত্রী। শেয়ার করা ছবির ক্যাপশনে ফারিণ লিখেছেন—এই শহরটা থেকে একটু দূরে কোথাও চলে যাই কিছুক্ষণ।আর এতেই ভক্ত-অনুরাগীরা অভিনেত্রীকে প্রশংসায় ভাসিয়ে তোলেন। কমেন্ট বক্সে অভিনেত্রীর রূপের প্রশংসা করে এক নেটিজেন লিখেছেন—ওয়াও কি সুন্দর প্রকৃতি! আর তার সঙ্গে আমাদের সুন্দরী ফারিণ আপু। আরেক নেটিজেন ভালোবাসার ইমোজি সঙ্গে জুড়ে দিয়ে লিখেছেন—আপনার থেকেও বেশি সুন্দর আপনার ওই হাসিমাখা মুখ।