রাজধানীর গুলশানের বাসভবন ফিরোজা’য় পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে বাসায় ঢুকেন তিনি।এ সময় দুই পুত্রবধূকে তাকে ধরে রাখতে দেখা যায়।এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা। উপস্থিত বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী এ সময় স্লোগান দিচ্ছিলেন। যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা শেষে চার মাস পর মঙ্গলবার ১০টা ৪০ মিনিটে দেশে পৌঁছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।ইমিগ্রেশন শেষ করে বিমানবন্দর থেকে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর বের হয়। এ সময় নেতাকর্মীরা পতাকা নেড়ে দলীয় প্রধানকে শুভেচ্ছা জানান। জনসমাগমের উপচেপড়া ভিড়ের কারণে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর এগিয়ে চলে ধীর গতিতে। দুপুর ১টা ২৫মিনিটে গাড়িবহর পৌঁছে যায় ফিরোজা’য়।
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ইসলামের আলোকে দেশ প্রেম ও মানবিক মূল্যবোধ শীর্ষক আলোচনা, ‘নক্ষত্র সাহিত্য পুরস্কার’-২০২৫ প্রদান অনুষ্ঠান হয়ে গেলোদেশের শিল্প-সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে নক্ষত্র সাহিত্য সংসদ। আর শিল্প-সাহিত্য নিয়ে কাজ করতে গিয়ে অর্জন করেছে নানা বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতা। আমাদের জাতীয় দিবসগুলোর পাশাপাশি ভূমিকা রেখেছে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ইসলামের আলোকে দেশ প্রেম ও মানবিক মূল্যবোধ শীর্ষক আলোচনা, ‘নক্ষত্র সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫ প্রদান ও ইসলামীক কবিতা আবৃত্তি ও সংগীত অনুষ্ঠান হয়ে গেলো গত ১৫ মার্চ ২০২৫, শনিবার,বিকেল ৪টা, বিশ্ব-সাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে । অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন: ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)এর সাবেক সভাপতি এলাহী নেওয়াজ খান। প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন: লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) ও লেখক মহসিন আলী খান । মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন: ড. ইঞ্জিনিয়ার এম শাহ্ আলম (বীর মুক্তিযোদ্ধা)। সভাপতিত্ব করেন সংগঠক ও নির্মাতা কবি রানা হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন: (বিজ্ঞ আইনজীবি), এ্যাডভোকেট মোঃ মোজাহার আলী, (বিজ্ঞ আইনজীবি), গণতান্ত্রিক যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আমান সোবহান, বাংলাদেশ মানবাধিকার ফোরামের সভাপতি এ্যাডভোকেট ফারুক আহমেদ, কবি বছিরুল আলম নানুœ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি শামীম মাহমুদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন: কবি শান্তনা মিঠু। বিভিন্ন শাখায় ১২জনগুণি মানুষর হাতে তুলে দেওয়া হয় ‘নক্ষত্র সাহিত্য পুরস্কার’-২০২৫।
আমাদের শিল্প-সাহিত্য, ইতিহাস, ঐতিহ্যকে হৃদয়ে ধারণ করে ২০ ডিসেম্বর ২০১০ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে নিয়মিত ভাবে চারুলতা সংস্কৃতি সংসদ। শুরু থেকেই সুস্থ শিল্প সাহিত্য, উন্নয়ন ও সামাজিক সচেতনতাসহ সাহিত্যসভা, কবি-সাহিত্যিকদের স¦রণের অনুষ্ঠান ও প্রতিভা বিকাশে গুণী মানুষদের বিশেষ হিসেবে ‘চারুলতা পদক’ প্রদানের মাধ্যমে আজোও কাজ করছে। সংগঠনের ধারাবাহিকতায় প্রয়াত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহাবুব মোর্শেদের ১১৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা, ‘চারুলতা পদক’-২০২৪ প্রদান ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, শনিবার, সন্ধ্যা ৬টায়, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি জনাব মাহমুদুর রহমান মান্না। স্মৃতিচারণ করেন: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক তথ্য সচিব ও প্রয়াত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহাবুব মোর্শেদের উত্তরসূরী সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ। সভাপতিত্ব করেন সংগঠক, নাট্যকার, নির্মাতা ও কবি রানা হোসেন। প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন : এ্যাডভোকেট লতিফুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন : কবি আল হাফিজ, কবি শামস আরেফিন। বক্তব্য রাখেন: ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা’র বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি শামীম মাহমুদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন: কবি শান্তনা মিঠু। আবৃত্তি পরিবেশন করবেন: সৈয়দ ইসমাত তোহা ও বশিরুল আলম নান্নু সহ অনেকে। উপস্থাপনায়: আসমা মালিহা। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন: মৃদুল ইবনে হোসেন। ‘চারুলতা পদক’-২০২৫ প্রদান করা হয় চৌধুরী বাগদাদ (সাংবাদিক) ‘চারুলতা পদক’-২০২৫ প্রদান করা হয় যারা এবছর পাচ্ছেন তারা হলেন: এস. এম. মাসুদ রানা আতাউর (শিক্ষাসেবা), লিটন হাফিজ চৌধুরী (সুরকার ও সংগীত শিল্পী) , সুলতানা রুবি(সাহিত্যিক) , নাজমা আহমেদ পিংকি (শিশু সাহিত্যিক) , নুরুন নাহার রীনা (কবি ও সাহিত্যিক) ,শামীম মাহমুদ (তরুণ রাজনীতিবিদ), সুরাইয়া কাজী (কবি ও কথাসাহিত্যিক) ,হাসান জাকির (কবি ও কথাশিল্পী) ,চৌধুরী বাগদাদ (সাংবাদিক) ,তরিকুল ইসলাম তরুণ (সাংবাদিক) , দোলন ইমাম (নৃত্যপরিচালক) ।
হানিফ সংকেত : এই ঘটনার পর এখন পর্যন্ত আমি কারও সঙ্গে কথা বলিনি। আসলে আমরা কোনো মাঠে এই অনুষ্ঠানের রেকর্ডিং করি না। সাধারণত যেকোনো প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন বা দেশের কোনো ঐতিহ্যবাহী স্থানে আমরা অনুষ্ঠানটা করি। প্রতিটি জায়গারই আলাদা একটা বৈশিষ্ট্য থাকে। ঠাকুরগাঁওয়ে এ রকম কিছু নেই। তারপরও আমরা জানতে পেরেছি, রানীশংকৈল উপজেলায় টংকনাথের রাজবাড়ি নামে একটি জমিদারবাড়ি আছে, যেটা খুবই বিখ্যাত, প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শনও। আমাদের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এটা সংরক্ষণও করেছে। এরপর আমরা ওখানকার জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বললাম। তাঁরা বললেন, ‘এটা তো গ্রামীণ এলাকা, এখানে অত লোক পাবেন? অন্য জায়গায় করা যায় কি না, ঠাকুরগাঁওয়ে।’ আমি তখন বলেছি, ‘ঠাকুরগাঁওয়ে করব না। আমরা তো মাঠে করি না।’ তখন তাঁরাও বলছিলেন, ‘দর্শক না এলে হবে?’ আমি তখন বলেছি, ‘আমাদের দুই থেকে তিন হাজার দর্শক হলেই চলবে। আমরা তো স্থাপনার বাইরে যেতে পারব না।’ সবকিছু মিলে টংকনাথ রাজবাড়িতে আমরা করলাম। অনুষ্ঠানের আগে আমরা আট হাজার প্রবেশ পাস দিয়েছি। ওখানে কিন্তু আর্মি, পুলিশ সবাই ছিল। যখনই আমরা অনুষ্ঠান শুরু করলাম। দর্শক তালি দিল। যেই আমি মঞ্চে এলাম, শুনলাম, চারদিক থেকে তিন কিলোমিটারের মতো রাস্তা প্যাকড। পাঁচ লাখের অধিক লোক। এত মানুষকে আমি কোথায় বসতে দেব। লোকজন করল কি, বাঁশের ব্যারিকেড ছিল, তা ভেঙে ঝাঁপিয়ে পড়ল। তখন তো ম্যাচাকার অবস্থা। ওখানে নারী আছেন, শিশু আছে, আছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষ। এরপর হাউকাউ শুরু হয়ে গেল। পুলিশ থামানোর চেষ্টা করছে, আমিও করছি। অস্থির অবস্থা। কেউ চেয়ার–ছোড়াছুড়ি করছে।হানিফ সংকেত : আমি তখন প্রশাসনকে ডেকে বললাম, ‘এভাবে অনুষ্ঠান করা যাবে না। মানুষ শান্ত হোক, তারপর অনুষ্ঠান শুরু করব। আপাতত আমরা অনুষ্ঠান কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখি।’ আমরাও অনুষ্ঠানের দৃশ্যধারণ বন্ধ করে দিয়ে লাইট বন্ধ করে দিলাম। জানিয়ে দিলাম, ‘অনুষ্ঠান আপাতত হচ্ছে না। আপনারা শান্ত হন।’ এ–ও অনুরোধ করেছি, ‘চলে যান। পরবর্তী সময় আমরা চিন্তা করব কী করা যায়।’ লোক যেতে তিন ঘণ্টা লেগে গেল।আমরা অনুষ্ঠান শুরু করি সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়। সাড়ে সাতটা কি আটটার সময় ঘটনার সূত্রপাত, যখন আমি মঞ্চে উঠলাম। ওঠার পর যখন কথা বললাম, তখনই বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। এরপর একটা নাচ করলাম। তারপর রবি চৌধুরী ও লিজার গানের অর্ধেকটা করলাম, তখন সেকেন্ড বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। এক থেকে দেড় ঘণ্টা অনুষ্ঠানের দৃশ্যধারণ বন্ধ রেখে রাত সাড়ে ৯টা কি ১০টার দিকে আবার শুরু করেছি। দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শুটিং করেছি। এখানকার স্থানীয় লোকজন খুবই আন্তরিক। তাঁরা এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। লজ্জিত হয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, ‘ঠাকুরগাঁওয়ের লোক ভালো।’ তখন আমিও বলেছি, ‘আমি তো বলিনি ঠাকুরগাঁওয়ের লোক খারাপ। ভালো বলেই তো শুটিং করতে এসেছি।’ আসলে সেখানে সমস্যাটা হয়েছে কি, আমরা পরিস্থিতির শিকার হয়ে গেছি। আমরাও বুঝিনি যে এত লোক হবে। কর্তৃপক্ষও বোঝেনি যে এত লোক হবে। আমাদের জায়গাটা আসলে আরও বড় হওয়া উচিত ছিল। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এখানে কিন্তু কোনো ঝগড়া নেই, মারামারি নেই। হামলা নেই। সবাই পরে খুব দুঃখ প্রকাশ করেছে। তারা এ–ও বলেছে, ‘আপনাদের ভালোবাসে, এটা তো অন্যায় না। ভালোবাসি বলেই এই ঘটনা ঘটেছে।’ এখানে কেউই মারামারি করতে আসেনি, হামলাও করতে আসেনি। এখানে এসেছিল উৎসুক জনতা। তারা এসেছে ‘ইত্যাদি’ দেখবে, আমাদের দেখবে, ‘ইত্যাদি’র শুটিং দেখবে বলে।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। অঞ্জনার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর। তিনি জানান, আজ শনিবার দুপুরে এফডিসিতে অঞ্জনার জানাজা হবে। অঞ্জনার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। তিনি দুই মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন।অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান জানা গেছে, তিন সপ্তাহ ধরে অসুস্থ ছিলেন একসময়ের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। শুরুতে জ্বর ছিল। সারা শরীর কেঁপে জ্বর আসত। একটা সময় ওষুধ খেয়েও কাজ হচ্ছিল না। শেষে জানা যায়, তাঁর রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এরপর অঞ্জনাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কয় দিন তাঁকে রাখা হয় সিসিইউতে। সেখানকার চিকিৎসায় শারীরিক অবস্থার আশানুরূপ উন্নতি না হওয়ায় হাসপাতাল বদলে গত বুধবার অঞ্জনাকে নেওয়া হয় বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই রাতেই তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থায় তাঁর অবস্থার কখনো উন্নতি, কখনো অবনতি হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত চলেই গেলেন এই নায়িকা।বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের একসময়ের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী অঞ্জনা নৃত্যশিল্পী থেকে নায়িকা হয়ে সর্বাধিক যৌথ প্রযোজনা এবং বিদেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। অঞ্জনার অভিনয়জীবন শুরু হয় ১৯৭৬ সালে। বাবুল চৌধুরী পরিচালিত ‘সেতু’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন তিনি। তবে অঞ্জনা অভিনীত ও একই বছর মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র ‘দস্যু বনহুর’। ছবিতে তাঁর নায়ক ছিলেন সোহেল রানা। এ ছবির পর তাঁকে আর ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবতে হয়নি।১৯৭৬ সালের এই সিনেমার পর টানা কাজ করেছেন অঞ্জনা। একে একে অভিনয় করেন ‘মাটির মায়া’, ‘অশিক্ষিত’, ‘চোখের মণি’, ‘সুখের সংসার’, ‘জিঞ্জির’, ‘অংশীদার’ ,‘আনারকলি’, ‘বিচারপতি’, ‘আলাদীন আলীবাবা সিন্দাবাদ’, ‘অভিযান’, ‘মহান’ ও ‘রাজার রাজা’, ‘বিস্ফোরণ’, ‘ফুলেশ্বরী’, ‘রাম রহিম জন’, ‘নাগিনা’, ‘পরীণিতা’ ইত্যাদি বাণিজ্যিক সফল সিনেমায়।এক সাক্ষাৎকারে অঞ্জনা জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ ছাড়াও তিনি অভিনয় করেছেন ৯টি দেশের ১৩টি ভাষার সিনেমায়। অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, আন্তর্জাতিক পুরস্কার, একাধিক জাতীয় স্বর্ণপদক ও বাচসাস পুরস্কার পেয়েছেন কয়েকবার। নৃত্যশিল্পী হিসেবেও অঞ্জনা পেয়েছেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক স্বীকৃতি। ‘পরিণীতা’ ও ‘গাঙচিল’-এ অভিনয়ের জন্য দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন। অঞ্জনা বিয়ে করেন পরিচালক আজিজুর রহমান বুলিকে। তাঁদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।
টানা দুই বছর ব্যাপক উল্লম্ফনের পর গত বছর কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে বিদেশে কর্মসংস্থান। আগের বছরের তুলনায় গত বছর তিন লাখ কর্মীর কর্মসংস্থান কমে গেছে। এ বছর তা আরও কমার শঙ্কা আছে। তবে আশার কথা হলো, বিদেশে কর্মী কমলেও বেড়েছে প্রবাসী আয়। বড় আকারের তিনটি শ্রমবাজার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিদেশে কর্মসংস্থানে বাংলাদেশের জন্য এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এখন একমাত্র ভরসা হিসেবে টিকে আছে সৌদি আরবের শ্রমবাজার। বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, ২০২১ সালে বিভিন্ন দেশে কাজ নিয়ে গেছেন ৬ লাখ ১৭ হাজার কর্মী। পরের বছর তা বেড়ে দাঁড়ায় ১১ লাখের বেশি কর্মী। ২০২৩ সালে তা আরও ২ লাখ বেড়ে কর্মী যাওয়ার সংখ্যা ১৩ লাখ ছাড়িয়ে যায়। তবে গত বছর তা তিন লাখ কমে দাঁড়ায় ১০ লাখে। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ কর্মী গেছেন মাত্র পাঁচটি দেশে। এগুলো হচ্ছে সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, কাতার, সিঙ্গাপুর ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)।তবে মালয়েশিয়া ও আমিরাতের শ্রমবাজার বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশের জন্য আরেক বড় শ্রমবাজার ওমানেও কর্মী নিয়োগ বর্তমানে বন্ধ। ফলে চলতি বছর বিদেশে কর্মী পাঠানো আরও কমার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। মালয়েশিয়ায় ২০২৩ সালে কাজ নিয়ে যান সাড়ে তিন লাখের বেশি কর্মী। কিন্তু গত জুন থেকে দেশটির শ্রমবাজার বন্ধ হয়ে গেছে। গত বছর দেশটিতে সব মিলে কর্মী যেতে পেরেছেন এক লাখের কম। তার মানে আগের বছরের তুলনায় গত বছর দেশটিতে নতুন কর্মসংস্থান কমেছে দুই লাখের বেশি। ওমানে ২০২৩ সালে কর্মী গিয়েছিলেন সোয়া লাখের বেশি। গত বছর শ্রমবাজারটি বন্ধ থাকায় কর্মী গেছেন মাত্র ৩৫৮ জন। তবে কর্মসংস্থান বেড়েছে সৌদি আরবে। দেশটিতে ২০২৩ সালে প্রায় ৫ লাখ কর্মী গেলেও গত বছর এটি বেড়ে সোয়া ৬ লাখ ছাড়িয়েছে। এ বছর এমন ধারা অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর সৌদি আরবেও নতুন কর্মসংস্থান কমতে পারে। এ ছাড়া সৌদি আরব গিয়ে চুক্তি অনুসারে কাজ না পাওয়ার অভিযোগ আছে। এতে কর্মীরা অবৈধ হয়ে পড়ছেন এবং দেশটির পুলিশের হাতে আটক হয়ে দেশে ফিরে আসছেন। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, দেশটিতে ফুটবল অবকাঠামো নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এতে কর্মীর চাহিদা আসছে নিয়মিত। গত তিন মাসে বিদেশে কর্মসংস্থানের ৮০ শতাংশের বেশি হয়েছে সৌদিতে। আগামী জুনের পর দেশটিতে কর্মী পাঠানো কমতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।গত বছর সব মিলে প্রবাসী আয় এসেছে ২ হাজার ৬৭০ কোটি ডলার। দেশের ইতিহাসে আগে কোনো বছর এত বেশি প্রবাসী আয় আসেনি। এর আগে ২০২১ সালে সর্বোচ্চ ২ হাজার ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছিল প্রবাসী আয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর টাকা পাচার কমেছে। আমদানি-রপ্তানির ব্যবসা-বাণিজ্যে কিছুটা স্থবিরতা আছে। এতে হুন্ডি লেনদেনও কমে গেছে। ফলে প্রবাসীরা আনুষ্ঠানিক খাতে টাকা পাঠানো বাড়িয়েছেন। রামরু বলছে, শ্রমবাজারের অন্যতম চ্যালেঞ্জ হলো একক দেশনির্ভরতা। ঘুরেফিরে হাতে গোনা কয়েকটি দেশের শ্রমবাজারে সীমিত হয়ে আছে বিদেশে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থান। এতে কর্মসংস্থান ধরে রাখা নিয়ে ঝুঁকি থেকে যায়।
তিন দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে কমেছে ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ ও দেশি আলুর দাম। ভারতীয় পেঁয়াজ কেজি প্রতি ১০ টাকা কমে ৪৫ টাকায় এবং দেশি নতুন জাতের আলু ৩০ টাকা কমে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি বেশি এবং দেশি নতুন আলু বাজারে উঠতে শুরু করাতে কমতে শুরু করেছে দাম বলছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। দাম কমাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। সোমবার সকালে হিলি বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়। হিলি বাজারে আলু ও পেঁয়াজ কিনতে আসা আমিনুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিনের তুলনায় আলু এবং পেঁয়াজের দাম কমেছে। তবে চাল, তেল, চিনি, বিভিন্ন মসলার দাম কমেনি। বাজার ব্যবস্থা খুব দুর্বল। সাধারণ মানুষের নাগালের বাহিরে গেছে সব কিছু। আমরা সঠিকভাবে সংসার পরিচালনা করতে পারছিনা। সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোন পদক্ষেপ নেই বললেই চলে। হিলি বাজারের আলু ও পেঁয়াজ বিক্রেতা রায়হান হোসেন বলেন, দেশের বাজারে দেশি আলু এবং ভারত থেকে পেঁয়াজের সরবারহ বৃদ্ধির কারণে কমতে শুরু করেছে দাম। এতে করে আগের থেকে বিক্রিও বেড়েছে। ক্রেতারা তাদের চাহিদা মত পণ্য কিনছেন। আমরা কম দামে কিনে কম দামে বিক্রি করছি। হিলি কাস্টমসের তথ্য মতে, গতকাল রোববার ভারতীয় ২০ ট্রাকে ৫৮০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে।
পাকিস্তান থেকে জাহাজে করে পণ্য বাংলাদেশে পৌঁছেছিল কয়েকদিন আগেই। তা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। ফের সেই একই জাহাজ করাচি থেকে চট্টগ্রামে আসছে দ্বিগুণেরও বেশি পণ্য নিয়ে। ২০ ডিসেম্বর জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় পৌঁছাবে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তপক্ষ। তবে প্রশ্ন উঠেছে- কি আছে এবারের জাহাজে? এর আগেও একই পাকিস্তানি জাহাজ বাংলাদেশে এসেছিল পণ্য নিয়ে। যা নিয়ে নানান জল্পনা তৈরি হয়েছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তান থেকে আসা ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’ নামক জাহাজটি এবার বাংলাদেশের চট্টগ্রামে পৌঁছাচ্ছে ৮২৫ টিইইউএস কনটেইনার নিয়ে। এর আগেরবার যখন জাহাজটি বাংলাদেশে এসেছিল, তখন তাতে ছিল ৩৭০ টিইইউএস কনটেইনার। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এবার গতবারের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি পণ্য নিয়ে চট্টগ্রামে পৌঁছাচ্ছে পাকিস্তানি জাহাজটি। পাকিস্তানের করাচি বন্দরের সঙ্গে চট্টগ্রামের সরাসরি কনটেইনার জাহাজ যোগাযোগ চালু হয়েছে চলতি বছরের ১৪ নভেম্বর। সেবার যে ৩৭০ টিইইউএস কনটেইনার বাংলাদেশে পৌঁছেছিল, তার মধ্যে ২৯৭ টিইইউএস কনটেইনার এসেছিল পাকিস্তান থেকে। বাকি ৭৩ টিইইউএস কনটেইনার সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বাংলাদেশে নিয়ে গিয়েছিল ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’। দ্বিতীয়বারের মতো গত ১১ ডিসেম্বর পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দেয় ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’ জাহাজ। রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯ ডিসেম্বরের আগেই বঙ্গোপসাগরে ঢুকেছে জাহাজটি। এই আবহে মনে করা হচ্ছে, ২১ বা ২২ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাস করতে পারে ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’। পণ্য খালাস করে ২৩ ডিসেম্বর নাগাদ জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দর ছাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করার পর যাবে ইন্দোনেশিয়ায়। সেখান থেকে মালেশিয়া, দুবাই হয়ে পাকিস্তানের করাচি ফিরবে। তবে এই জাহাজে কি কি পণ্য রয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। এ নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, শিপিং সংস্থাটি অনলাইনে জানাবে যে তাদের জাহাজের কনটেনারে কি কি পণ্য আছে। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
চেক প্রতারণার মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) জিয়াদুর রহমান আজ রোববার এ আদেশ দেন। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী আইএফআইসি ব্যাংকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাহিবুর রহমান। আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, চেক প্রতারণার অভিযোগে গত ১৫ ডিসেম্বর সাকিব আল হাসানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন আইএফআইসি ব্যাংকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাহিবুর রহমান। আদালত সেদিন সাকিব আল হাসানসহ চারজনকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারির আদেশ দিয়েছেন। মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ঠিক করা হয়েছিল ১৯ জানুয়ারি।সাকিব আল হাসানতবে আজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের পরিচালক ইমদাদুল হক ও মালাইকার বেগম। কিন্তু সাকিব আল হাসান ও অ্যাগ্রো ফার্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী শাহাগীর হোসাইন আদালতে হাজির হননি। আজ বাদীপক্ষ থেকে সাকিব আল হাসান ও গাজী শাহাগীরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। আদালত পরে সাকিব আল হাসান ও গাজী শাহাগীরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। মামলার আরজিতে অভিযোগ আনা হয়েছে, সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সাকিব। সাত বছর আগে (২০১৭ সাল) আইএফআইসি ব্যাংকের বনানী শাখা থেকে প্রতিষ্ঠানটি দেড় কোটি টাকা ঋণ নেয়। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করেনি প্রতিষ্ঠানটি। পরে ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যাংকের পক্ষ থেকে নোটিশ দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেড চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ৪ কোটি ১৪ লাখ টাকার দুটি চেক দেয় ব্যাংকে।তবে অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় চেক দুটি প্রত্যাখ্যান করা হয়। পরে টাকা পরিশোধ করার জন্য সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডকে আইনি নোটিশ পাঠায় আইএফআইসি ব্যাংক। এরপরও টাকা পরিশোধ না করায় ১৫ ডিসেম্বর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের মালিক সাকিব আল হাসানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে।
ভারতের হামলার জবাবে পাকিস্তান যখন পাল্টা দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে তখন, দুদেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টারা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। ভারত চাচ্ছে এই অবস্থার উন্নতি, তারা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে উত্তেজনা না বাড়ার আশা করছে।পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) লে. জেনারেল আসিম মালিক জানিয়েছেন, ভারতের এনএসএ প্রধান অজিত দোভাল দুদেশের মাঝে চলা উত্তেজনা কমাতে চাচ্ছে। দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনকে ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, ‘পাকিস্তান ও ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টারা আলোচনায় আছেন।’তবে তিনি আলোচনার বিষয়বস্তু কিংবা দুদেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টার মাঝে কী নিয়ে কথা হচ্ছে, তাও বলেননি।পাকিস্তানের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যোগাযোগের বিষয়টি এই উত্তেজনার মুহুর্তে খুব জরুরি। ধারণা করা হচ্ছে, দুদেশের উপদেষ্টাদের মাঝে এই যোগাযোগ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক শক্তিগুলোর কৌশলী এবং ব্যাকডোর কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে সম্ভব হয়েছে।পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি) যদিও বলেছে, ইসলামাবাদ নিজের ইচ্ছামতো সময়, স্থান ও পদ্ধতি বেছে নিয়ে ভারতের হামলার জবাব দেবে। তারপরও জাতীয় পরিষদে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের বক্তব্যের মধ্যে আরও পাল্টা জবাব না দেওয়ার ইঙ্গিতই বেশি ছিল।সূত্র জানিয়েছে, তৃতীয় একটি দেশ পাকিস্তানকে ভারতের আসন্ন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ব্যাপারে আগাম সতর্ক করেছিল। একই সূত্রে জানা গেছে, ভারতও গোপনে পাকিস্তানকে বার্তা দিয়েছে—তাদের আর উত্তেজনা বাড়ানোর ইচ্ছা নেই। ভারতের এনএস দোভাল অন্যান্য কয়েকটি দেশের এনএসকে আশ্বস্ত বলেছেন, ভারতের উত্তেজনা বাড়ানোর কোনো ইচ্ছা নেই।
১২ ঘণ্টা আগে
মহান মে বিদস উপলক্ষে ‘অনিন্দ্য সমাজ গড়তে আমাদের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা, ‘বাসপ পুরস্কার’-২০২৫ প্রদান ও কবিতা আবৃত্তি অনুষ্ঠান হয়ে গেলো ১০ মে ২০২৫, শনিবার, সন্ধ্যা ৬ টায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক তথ্য সচিব ও বাসপের প্রধান উপদেষ্টা সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ। প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন: লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) মহসিন আলী খান পিএসসি। সভাপতিত্ব করেন সংগঠক ও নির্মাতা কবি রানা হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. ইঞ্জিনিয়ার এম শাহ্ আলম, তরুণ রাজনীতিবীদ শামীম রেজা, অভিনেত্রী ইসরাত জাহান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন: কবি শান্তনা মিঠু ও গাজী জাকির হোসেন।‘বাসপ পুরস্কার’-২০২৫ পেয়েছেন তারা হলেন : ড. ইঞ্জিনিয়ার এম শাহ্ আলম (বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সমাজসেবক), মহসিন আলী খান (সংস্কৃতি সেবক), টুটুল চৌধুরী (অভিনেতা), মোঃ তজিরুল ইসলাম (নজরুল সংগীত শিল্পী), নুরুন নাহার রীনা (কবি ও সাহিত্যিক), জাফরীন ফেরদৗসী (শিক্ষক ও সংগীতশিল্পী), সিনিগদা হোসেইন (অভিনেত্রী), মোঃ হারুন অর রশিদ (বিশিষ্ট দলিল লেখক), আফসার আশরাফী (কবি), যোসেফ হালদার (কবি ও সাহিত্যিক), মোঃ মঈন (শিশুশিল্পী)।শুরুতেই পবিত্র কোনআন তেলাওয়াত: মৃদুল ইবনে হোসেন। আবৃত্তি পরিবেশন করেন টুটুল চৌধুরী, রাহিমা আক্তার নীপা, গাজী জাকির হোসেন, শামীম রেজা। অনুষ্টান উপস্থাপনা করেন যাইন খান প্যারিস।
প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার, পদ্ধতিগত সংস্কারের মাধ্যমে আইনি সহায়তায় বিচারিক কার্যক্রম আরও সহজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তিনি বলেছেন, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, ন্যায়বিচার যাতে বিলম্বিত না হয়।শনিবার ‘বিচারিক স্বাধীনতা ও দক্ষতা’ শীর্ষক এক কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি, নিম্ন আদালতের বিচারকরা কনফারেন্সে অংশ নেন।১৯৭১ সালের শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, যাদের আত্মত্যাগ আমাদের স্বাধীন জাতির ভিত্তিস্থাপন করেছিল। বিজয়ের এই মাস ডিসেম্বর, তাদের অতুলনীয় সাহস এবং উৎসর্গের একটি শক্তিশালী অনুস্মারক হিসেবে কাজ করে।২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র নেতৃত্বাধীন বিপ্লবের দৃঢ় চেতনাকেও স্মরণ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, জুলাই বিপ্লব নিপীড়নকে উৎখাত এবং ন্যায়বিচার, সাম্য এবং মানবতা পুনরুদ্ধারের লড়াই।প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের ইতিহাসের এই সংজ্ঞায়িত মুহূর্তগুলো আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, ন্যায়বিচারের সন্ধান একটি ক্ষণস্থায়ী প্রচেষ্টা নয় বরং একটি আজীবন প্রতিশ্রুতি যা আমাদের বিচারিক মিশনের ভিত্তি তৈরি করে।প্রধান বিচারপতি বলেন, সম্প্রতি একজন বিচারপ্রার্থী আপিল বিভাগ বেঞ্চের কাছে যান। ওই বিচারপ্রার্থী কাঁপাকণ্ঠে কথা বললেন। কান্নায় ভেঙে পড়েন। বিলম্বিত বিচারের কারণে ওই বিচারপ্রার্থী তার দুর্দশার কথা তুলে ধরেন। তার কষ্ট দেখে আমি তাকে আশ্বস্ত করেছিলাম যে আগামী মাসে তার মামলার শুনানি হবে। তার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা আমাকে মনে করিয়ে দিয়েছে যে, বিচারে বিলম্ব হ্রাস করা নিছক প্রশাসনিক লক্ষ্য নয়, বরং এটি নৈতিক বাধ্যতামূলক।
রাজধানীর গুলশানের বাসভবন ফিরোজা’য় পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে বাসায় ঢুকেন তিনি।এ সময় দুই পুত্রবধূকে তাকে ধরে রাখতে দেখা যায়।এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা। উপস্থিত বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী এ সময় স্লোগান দিচ্ছিলেন। যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা শেষে চার মাস পর মঙ্গলবার ১০টা ৪০ মিনিটে দেশে পৌঁছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।ইমিগ্রেশন শেষ করে বিমানবন্দর থেকে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর বের হয়। এ সময় নেতাকর্মীরা পতাকা নেড়ে দলীয় প্রধানকে শুভেচ্ছা জানান। জনসমাগমের উপচেপড়া ভিড়ের কারণে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর এগিয়ে চলে ধীর গতিতে। দুপুর ১টা ২৫মিনিটে গাড়িবহর পৌঁছে যায় ফিরোজা’য়।
মহান মে বিদস উপলক্ষে ‘অনিন্দ্য সমাজ গড়তে আমাদের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা, ‘বাসপ পুরস্কার’-২০২৫ প্রদান ও কবিতা আবৃত্তি অনুষ্ঠান হয়ে গেলো ১০ মে ২০২৫, শনিবার, সন্ধ্যা ৬ টায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক তথ্য সচিব ও বাসপের প্রধান উপদেষ্টা সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ। প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন: লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) মহসিন আলী খান পিএসসি। সভাপতিত্ব করেন সংগঠক ও নির্মাতা কবি রানা হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. ইঞ্জিনিয়ার এম শাহ্ আলম, তরুণ রাজনীতিবীদ শামীম রেজা, অভিনেত্রী ইসরাত জাহান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন: কবি শান্তনা মিঠু ও গাজী জাকির হোসেন।‘বাসপ পুরস্কার’-২০২৫ পেয়েছেন তারা হলেন : ড. ইঞ্জিনিয়ার এম শাহ্ আলম (বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সমাজসেবক), মহসিন আলী খান (সংস্কৃতি সেবক), টুটুল চৌধুরী (অভিনেতা), মোঃ তজিরুল ইসলাম (নজরুল সংগীত শিল্পী), নুরুন নাহার রীনা (কবি ও সাহিত্যিক), জাফরীন ফেরদৗসী (শিক্ষক ও সংগীতশিল্পী), সিনিগদা হোসেইন (অভিনেত্রী), মোঃ হারুন অর রশিদ (বিশিষ্ট দলিল লেখক), আফসার আশরাফী (কবি), যোসেফ হালদার (কবি ও সাহিত্যিক), মোঃ মঈন (শিশুশিল্পী)।শুরুতেই পবিত্র কোনআন তেলাওয়াত: মৃদুল ইবনে হোসেন। আবৃত্তি পরিবেশন করেন টুটুল চৌধুরী, রাহিমা আক্তার নীপা, গাজী জাকির হোসেন, শামীম রেজা। অনুষ্টান উপস্থাপনা করেন যাইন খান প্যারিস।
মহান বিজয় বিদস উপলক্ষে ‘অনিন্দ্য সমাজ গড়তে আমাদের ভুমিকা শীর্ষক আলোচনা, ¯স্বীকৃতি স্বরূপ ‘বাসপ পুরস্কার’-২০২৪ প্রদান ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুথানে শহীদদের স্মরণেগণঅভ্যুত্থানে শহীদদের কবিতা আবৃত্তি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, রোববার, সন্ধ্যা ৬ টায়, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক তথ্য সচিব ও বাসপের প্রধান উপদেষ্টা সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ। সভাপতিত্ব করেন কবি রানা হোসেন। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ ¡ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. ইঞ্জিনিয়ার এম শাহ্ আলম। আলোচক হিসেবে ছিলেন ¯স্বাস্থ্য মন্ত্রলালয়ের সাবেক উপ-সচিব কবি ফেরদৌস পারভীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন : সাংবাদিক ও সংগঠক আজম ফারুক, কবি ও গবেষক হাসান জাকির, কবি ও গবেষক শাসম আরেফিন, কবি মুজিবর রহমান বকুল, চিত্রপরিচালক শাহীন মাহমুদ, সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মাহমুদুর রহমান। ¯স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বশিরুল আলম নান্নু , রাজনীতিবিদ মো: ফয়সাল আহমেদ, গীতিকবি শান্তনা মিঠু। উপস্থাপনা করেন : আনোয়ার পারভেজ। ‘বাসপ পুরস্কার’-২০২৪ প্রদান মহান বিজয় বিদস উপলক্ষে এবছর ‘বাসপ পুরস্কার’-২০২৪ প্রদান করা হয় তারা হলেন (বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সমাজসেবক) ড. ইঞ্জিনিয়ার এম শাহ্ আলম, (সংগীত শিল্পী) লিটন হাফিজ চৌধুরী , (কবি ও কথাসাহিত্যিক) সুরাইয়া কাজী, (শিশু সাহিত্যিক) নাজমা আহমেদ পিংকি, (কবি ও সাহিত্যিক) নুরুন নাহার রীনা, (কবি ও শিক্ষক) ফেরদৌসী মজুমদার, (তরুণ রাজনীতিবিদ) জনাব মোঃ হাবিবুল্লাহ নাহিদ, (শিশু অংকনশিল্পী) রুবাইয়া মাহমুদ সারিয়া, (সমাজসেবক) মোহাসিন আলী খান, (কবি ও ইসলামিক গবেষক) লুৎফুন্নেসা বেগম, (সফল ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক) মো: আবুল হোসেন, (সমাজসেবক) জহিরুল ইসলাম জহির।