আপাতত সাংবাদিকেরা সচিবালয়ে ঢুকতে পারবেন না, অন্যদের অস্থায়ী পাসও বাতিল
গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার (কি পয়েন্ট ইন্সটেলশন-কেপিআই) নিরাপত্তা বিবেচনা করে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার সীমিত করা হয়েছে। সরকার দ্রুতই সাংবাদিকদের দেওয়া বিদ্যমান অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডগুলো পর্যালোচনা করবে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সব সংবাদমাধ্যমকে নতুন অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের জন্য তথ্য অধিদপ্তরে আবেদনের আহ্বান জানাবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা জানিয়েছেন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে প্রেস সচিব এই পোস্ট দেন।
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা উল্লেখ করে ওই পোস্টে প্রেস সচিব আরও জানান, এর মধ্যে যেকোনো প্রেস ইভেন্টের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে অস্থায়ীভাবে দৈনন্দিন ভিত্তিতে প্রবেশাধিকার কার্ড দেওয়া হবে। পোস্টে প্রেস সচিব আরও লিখেছেন, ‘এই অসুবিধার জন্য সরকার দুঃখপ্রকাশ করছে এবং এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের কাছ থেকে সহযোগিতা আশা করছে।’
গতকাল শুক্রবার রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বরত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেওয়া অস্থায়ী প্রবেশ পাস ছাড়া সব ধরনের অস্থায়ী (বেসরকারি ব্যক্তিদের) পাস বাতিল করল সরকার। এ ছাড়া সাংবাদিকদের অনুকূলে দেওয়া অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দিয়ে সচিবালয়ে প্রবেশধিকারও পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে। এর মানে হলো অ্যাক্রিডিটেশনধারী সাংবাদিকসহ বাইরের কেউ আপাতত সচিবালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না।
বাতিল করা বিভিন্ন শ্রেণির সচিবালয় প্রবেশ পাসধারীরা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশ, ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার, ডিএমপি, ১৫ আবদুল গণি রোড, ঢাকায় স্থাপন করা বিশেষ সেলের মাধ্যমে নতুন করে অস্থায়ী প্রবেশ পাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
সংশ্লিষ্ট
মহান মে বিদস উপলক্ষে ‘অনিন্দ্য সমাজ গড়তে আমাদের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা, ‘বাসপ পুরস্কার’-২০২৫ প্রদান ও কবিতা আবৃত্তি অনুষ্ঠান হয়ে গেলো ১০ মে ২০২৫, শনিবার, সন্ধ্যা ৬ টায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক তথ্য সচিব ও বাসপের প্রধান উপদেষ্টা সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ। প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন: লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) মহসিন আলী খান পিএসসি। সভাপতিত্ব করেন সংগঠক ও নির্মাতা কবি রানা হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. ইঞ্জিনিয়ার এম শাহ্ আলম, তরুণ রাজনীতিবীদ শামীম রেজা, অভিনেত্রী ইসরাত জাহান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন: কবি শান্তনা মিঠু ও গাজী জাকির হোসেন।‘বাসপ পুরস্কার’-২০২৫ পেয়েছেন তারা হলেন : ড. ইঞ্জিনিয়ার এম শাহ্ আলম (বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সমাজসেবক), মহসিন আলী খান (সংস্কৃতি সেবক), টুটুল চৌধুরী (অভিনেতা), মোঃ তজিরুল ইসলাম (নজরুল সংগীত শিল্পী), নুরুন নাহার রীনা (কবি ও সাহিত্যিক), জাফরীন ফেরদৗসী (শিক্ষক ও সংগীতশিল্পী), সিনিগদা হোসেইন (অভিনেত্রী), মোঃ হারুন অর রশিদ (বিশিষ্ট দলিল লেখক), আফসার আশরাফী (কবি), যোসেফ হালদার (কবি ও সাহিত্যিক), মোঃ মঈন (শিশুশিল্পী)।শুরুতেই পবিত্র কোনআন তেলাওয়াত: মৃদুল ইবনে হোসেন। আবৃত্তি পরিবেশন করেন টুটুল চৌধুরী, রাহিমা আক্তার নীপা, গাজী জাকির হোসেন, শামীম রেজা। অনুষ্টান উপস্থাপনা করেন যাইন খান প্যারিস।
আজ ২৬ এপ্রিল, সাটুরিয়ার ইতিহাসের এক শোকাবহ দিন। ১৯৮৯ সালের এই দিনে পৃথিবীর অন্যতম ভয়াবহ টর্নেডোর আঘাতে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় ঘটেছিল ধ্বংসের বিভীষিকা। আজ সেই হৃদয়বিদারক ঘটনার ৩৬ বছর পূর্তি। ৩৬ বছর আগে এই দিনে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় নেমে এসেছিল ইতিহাসের এক ভয়াল দিন। ১৯৮৯ সালের ২৬ এপ্রিল বিকেলে বয়ে যাওয়া ধ্বংসাত্মক টর্নেডো মুহূর্তের মধ্যে শেষ করে দিয়েছিল হাজারো জীবন, স্বপ্ন আর সুখের সংসার। এখনও এই দিনটি এলেই আতঙ্ক আর কান্নায় ভিজে ওঠে সাটুরিয়ার মানুষ। মাত্র কয়েক মিনিটের তাণ্ডবে সাটুরিয়ার প্রাণ হারায় প্রায় ১,৩০০ মানুষ। আহত হয় অন্তত ১২ হাজার এবং প্রায় এক লাখ মানুষ হয়ে পড়ে গৃহহীন। উপজেলার ২০টি গ্রামের কয়েক হাজার ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, বাজার, স্কুল-কলেজ, সরকারি স্থাপনা ও হাজার হাজার গাছপালা একেবারে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। বিশেষ করে দুই শতাব্দী পুরনো সাটুরিয়া বাজার সম্পূর্ণরূপে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। সেদিনের ভয়াল স্মৃতিচারণ করে সাটুরিয়া বাজারের প্রবীণ ব্যবসায়ী মো. পিয়ার আলী বলেন,"সকাল থেকেই প্রচণ্ড গরম ছিল, বাতাসের কোনো অনুভূতিই ছিল না। বিকাল ৫টার দিকে হঠাৎ আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রবল শব্দে ধেয়ে আসে সেই বিভীষিকাময় টর্নেডো। মুহূর্তেই সবকিছু ধূলিসাৎ হয়ে যায়।" তিনি আরও জানান,"আমি নিজেও মাথায় গুরুতর আঘাত পাই। বহুদিন বিছানায় পড়ে ছিলাম। প্রতিবছর ২৬ এপ্রিল এলেই সেই ভয়ঙ্কর দিনটির দৃশ্য এখনো চোখের সামনে ভেসে ওঠে।" আরেকজন স্থানীয় বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন,"আমরা চোখের সামনে দেখেছি কীভাবে পুরো গ্রামটা ধ্বংস হয়ে গেল। মানুষজন কাঁদছিল, আর্তনাদ করছিল, কেউ কেউ প্রিয়জনের খোঁজে ছুটছিল ধ্বংসস্তূপের মাঝে।" টর্নেডোটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে অনেকে কয়েকশ মিটার দূরে ছিটকে পড়েন। বহু পরিবার পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, কয়েক হাজার বাড়িঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়, প্রায় ৪০০ দোকানপাট উড়ে যায়, সরকারি খাদ্য গুদামসহ বহু সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সরকারি তথ্যমতে, এটি ছিল ইতিহাসের অন্যতম শক্তিশালী এবং প্রাণঘাতী টর্নেডোগুলোর একটি। টর্নেডোর পরপরই দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবী দল ও সরকার ব্যাপক উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। পুনর্বাসন কার্যক্রমও চালানো হয়, তবে হারানো প্রাণ আর ফিরে আসেনি। প্রায় ৪০০ দোকান সম্পূর্ণ ভেঙে যায়, সাটুরিয়ার সরকারি খাদ্য গুদামসহ গুরুত্বপূর্ণ ভবন ধ্বংস হয়। বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ফসলের অপূরণীয় ক্ষতি হয়। বহু পরিবার হারায় তাদের পুরো সদস্য পরিবারকে। সেই সময় সরকারের পাশাপাশি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংস্থা ও স্বেচ্ছাসেবক দল উদ্ধার কার্যক্রম ও পুনর্বাসন কাজে অংশ নেয়। বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ টর্নেডোর তালিকায় স্থান পাওয়া এই দুর্যোগটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় হয়ে রয়েছে। ৩৬ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও সাটুরিয়ার মানুষ সেই দিনের ভয়াবহতা ভুলতে পারেনি। স্থানীয়দের প্রত্যাশা, এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় আরও কার্যকর প্রস্তুতি ও সচেতনতা গড়ে তোলা হোক। আজ সাটুরিয়ার বিভিন্ন স্থানে নিহতদের স্মরণে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। একই সাথে দুর্যোগ মোকাবেলায় সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য,১৯৮৯ সালের ২৬ এপ্রিল বিকেল।সাটুরিয়ার আকাশ ধীরে ধীরে কালো হয়ে উঠছিল। বাতাস যেন থমকে গিয়েছিল। আশপাশের প্রকৃতি নীরব। আর ঠিক সেই নিস্তব্ধতা ভেঙে, বিকাল ৫টার দিকে, নেমে আসে এক বিভীষিকাময় দানব—টর্নেডো। মুহূর্তেই যেন সময় থেমে যায়, জীবন থেমে যায়। আজ ৩৬ বছর পরও, সেই দিনের কথা মনে করলেই শিউরে ওঠেন মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার মানুষ। আকাশে-বাতাসে তখন শুধুই কান্না আর আর্তনাদ। প্রচণ্ড ঘূর্ণির শক্তিতে উড়ে গিয়েছিল ঘরবাড়ি, দোকানপাট, গাছপালা, মানুষের জীবন। ১৯৮৯ সালে দেশে দুর্যোগ পূর্বাভাসের অবকাঠামো ছিল না বললেই চলে। জনসাধারণের কাছে আগাম সতর্কবার্তা পৌঁছায়নি। ফলে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল ভয়াবহ মাত্রায়। টর্নেডোর পরে সাটুরিয়ার মানুষ শুরু করে নতুন করে বেঁচে থাকার লড়াই। সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতায় শুরু হয় পুনর্বাসন। নতুন করে বাজার গড়ে ওঠে, ঘরবাড়ি বানানো হয়। কিন্তু হারিয়ে যাওয়া প্রিয়জন, স্মৃতি আর জীবনের স্বপ্নের কোনোটাই ফিরে আসেনি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আজ অনেক উন্নতি হয়েছে। তবে টর্নেডো-জাতীয় আকস্মিক দুর্যোগ মোকাবেলায় আরও সচেতনতা এবং আগাম প্রস্তুতির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সাটুরিয়ার সেই ভয়াল টর্নেডো আমাদের মনে করিয়ে দেয়, প্রকৃতির সামনে মানুষ কতটা ক্ষণিক, আর বেঁচে থাকার লড়াই কতটা দুর্দান্ত। মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি মো: আরিফুর রহমান অরি
আজ ঢাকা যেন হয়ে উঠেছে ফিলিস্তিনের প্রতিচ্ছবি। রোদে পুড়ে, ঘামে ভিজে, গলা ফাটিয়ে শত শত মানুষ স্লোগান দিচ্ছেন ‘তুমি কে আমি কে, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’। চারপাশে শোভা পাচ্ছে লাল-সবুজ আর সাদা-কালো রঙের পতাকা।গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর নির্বিচার গণহত্যা আর বর্বরতার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে রাজধানী। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এবং আশপাশের এলাকাগুলো পরিণত হয়েছে জনসমুদ্রে। একটাই দাবি— গণহত্যা বন্ধ করো, ফিলিস্তিনকে স্বাধীন কর।‘মার্চ ফর গাজা’ গণজমায়েত কর্মসূচিতে যোগ দিতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুল মানুষ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যান। শাহবাগ ও আশপাশে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শনিবার বিকাল ৩টায় মূল কর্মসূচির মাধ্যমে শেষ হয়। সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসে মানুষ। মিছিলগুলো কোনোটি শাহবাগ দিয়ে, দোয়েল চত্বর দিয়ে, নীলক্ষেতের দিক থেকে উদ্যানে মিলিত হতে দেখা যায়। বেশিরভাগ মানুষের হাতে দেশের ও ফিলিস্তিনের পতাকা দেখা যায়।‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম এ কর্মসূচির আয়োজন করে। সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল সহকারে মানুষ আসতে শুরু করেন উদ্যানে। শাহবাগ, দোয়েল চত্বর, নীলক্ষেত, টিএসসি, পলাশীসহ আশপাশের এলাকার রাস্তাগুলোয় একের পর এক মিছিল ঢুকে পড়ে মূল সমাবেশস্থলে। অংশগ্রহণকারীদের হাতে ছিল বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পতাকা এবং নানান প্রতিবাদী স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড। প্ল্যাকার্ডগুলোর মধ্যে লেখা ছিল— ‘গাজা রক্তে রঞ্জিত, বিশ্ব কেন নীরব?’, ‘ফিলিস্তিন মুক্ত কর’, ‘ইসরাইলি দখলদারিত্বের অবসান চাই’।সমাবেশস্থলে দেখা যায় নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, রাজনীতিক, ইসলামি বক্তা, মানবাধিকারকর্মী এবং সংস্কৃতিকর্মীরা এক কাতারে দাঁড়িয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে স্লোগান দিচ্ছেন। আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, এ কর্মসূচির উদ্দেশ্য আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা এবং গাজায় চলমান হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করা।সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের কেউ কেউ অভিনব পন্থায় প্রতিবাদ জানান—ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি বা মুখোশ বহন করে, যা বিশ্ব রাজনীতিতে এ গণহত্যার সহযোগীদের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করে। অনেকেই রক্তাক্ত (প্রতীকী) পোশাক পরে অংশগ্রহণ করেন, যা গাজার পরিস্থিতিকে দৃশ্যমান করে তোলে।
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ইসলামের আলোকে দেশ প্রেম ও মানবিক মূল্যবোধ শীর্ষক আলোচনা, ‘নক্ষত্র সাহিত্য পুরস্কার’-২০২৫ প্রদান অনুষ্ঠান হয়ে গেলোদেশের শিল্প-সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে নক্ষত্র সাহিত্য সংসদ। আর শিল্প-সাহিত্য নিয়ে কাজ করতে গিয়ে অর্জন করেছে নানা বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতা। আমাদের জাতীয় দিবসগুলোর পাশাপাশি ভূমিকা রেখেছে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ইসলামের আলোকে দেশ প্রেম ও মানবিক মূল্যবোধ শীর্ষক আলোচনা, ‘নক্ষত্র সাহিত্য পুরস্কার-২০২৫ প্রদান ও ইসলামীক কবিতা আবৃত্তি ও সংগীত অনুষ্ঠান হয়ে গেলো গত ১৫ মার্চ ২০২৫, শনিবার,বিকেল ৪টা, বিশ্ব-সাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে । অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন: ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)এর সাবেক সভাপতি এলাহী নেওয়াজ খান। প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন: লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) ও লেখক মহসিন আলী খান । মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন: ড. ইঞ্জিনিয়ার এম শাহ্ আলম (বীর মুক্তিযোদ্ধা)। সভাপতিত্ব করেন সংগঠক ও নির্মাতা কবি রানা হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন: (বিজ্ঞ আইনজীবি), এ্যাডভোকেট মোঃ মোজাহার আলী, (বিজ্ঞ আইনজীবি), গণতান্ত্রিক যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আমান সোবহান, বাংলাদেশ মানবাধিকার ফোরামের সভাপতি এ্যাডভোকেট ফারুক আহমেদ, কবি বছিরুল আলম নানুœ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি শামীম মাহমুদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন: কবি শান্তনা মিঠু। বিভিন্ন শাখায় ১২জনগুণি মানুষর হাতে তুলে দেওয়া হয় ‘নক্ষত্র সাহিত্য পুরস্কার’-২০২৫।